Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৪

নতুন এক সাফল্যের ইতিহাস লিখলো ভারতের ইসরো

 

ISRO-new-success

সমকালীন প্রতিবেদন : গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় আদিত্যকে। ৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবার কক্ষপথ বদলেছিল সৌরযান। 

এর পর একে একে পাঁচবার কক্ষপথ বদলে পৃথিবীর ‘মায়া’ কাটিয়ে মহাশূন্যে পাড়ি দিয়ে সূর্যের চূড়ান্ত কক্ষপথে পৌঁছে গেল সে। শনিবাসরীয় বিকেলে সূর্যের এল ওয়ান কক্ষপথে ঢুকে পড়ল আদিত্য এল ওয়ান। 

এই নির্দিষ্ট কক্ষপথেই আগামী পাঁচ বছর থাকবে সেটি। এবার পাঁচ বছর ধরে নানা তথ্য নাগাড়ে দিয়ে যাবে আদিত্য। আশা, সূর্যের বহু অজানা রহস্য হয়তো এবার সামনে আনবে ইসরোর এই সৌরযান। 

এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে নিজের এক্স হ্যান্ডলে বার্তা পোস্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানিয়ে দিলেন, ভারত নতুন এক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। তিনি লিখেছেন, ‘ভারত আরও এক ইতিহাস সৃষ্টি করল। 

ভারতের প্রথম সৌর পর্যবেক্ষক আদিত্য এল ওয়ান তার গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছে। এটা সবচেয়ে জটিল ও কঠিন মহাকাশ মিশনের মধ্যে অন্যতম। আমাদের বিজ্ঞানীদের নিরলস অধ্যাবসায়ের প্রমাণ। দেশের সকলের সঙ্গে আমিও করতালি দিচ্ছি।’

উল্লেখ্য, সূর্যের কাছে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট বা এল ওয়ান পয়েন্টের দূরত্ব পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার। গত চার মাস ধরে এই পথ অতিক্রম করেছে আদিত্য-এল ওয়ান। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাকে নির্দিষ্ট কক্ষপথটিতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

ওই এলাকায় আগে থেকেই নাসার আরও চারটি মহাকাশযান রয়েছে। তারাও সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এর আগে ভারতের কোনও মহাকাশযান সূর্যের এত কাছে যায়নি। জানা গেছে, এই মিশনে ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা কীভাবে উত্তপ্ত হয়, তা নিয়ে গবেষণা করা হবে। 

সেইসঙ্গে আংশিকভাবে আয়োনাইজড প্লাজমার পিছনে কী বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে, তা নিয়েও গবেষণা চালানো হবে আদিত্য-এল ওয়ান মিশনে। তাই আজকের দিনটি লিখে রাখা হবে ভারতের ইতিহাসে। 







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন