সমকালীন প্রতিবেদন : পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কত না কিছু ঘটে যাচ্ছে। কত আজব ঘটনা, তার কোনো হিসেব নেই। নানা মজার গল্প, বিস্ময় কাহিনি লুকিয়ে রয়েছে পরতে পরতে। কত রীতি-নীতি, যা মানুষকে ভাবিয়ে তোলে।
এখানে এমনই এক গ্রামের কথা বলব, যা আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে অবিশ্বাস্য, তবে এটাই সত্যি! ভারতের বুকেই এমন গ্রাম রয়েছে, যেখানে দুই বিয়ে করেন পুরুষেরা। এটা রীতি হয়ে গিয়েছে সেই গ্রামে।
আর এই দুই বিয়ের রীতির থেকেও দুই বিয়ের কারণ জানলে জাস্ট চমকে যাবেন। ভারত-পাক সীমান্তের কাছে রয়েছে রাজস্থানের বাড়মের জেলার অন্তর্গত একটি ছোট্ট গ্রাম। নাম দেরাসর। বড়জোর ৬০০ জনের বাস।
কিন্তু এই গ্রামেরই এক অদ্ভুত রীতি সারা দেশের কাছে একে পরিচিতি এনে দিয়েছে। দেরাসরের প্রতিটি পুরুষের অন্তত দু’জন করে স্ত্রী! এই বিষয়টি শুনতে যতটা অদ্ভুত লাগছে, তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি অদ্ভুত লাগবে এমন রীতির পিছনের কারণ জেনে।
গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, প্রথম স্ত্রী থেকে কোনও স্বামীরই সন্তান হবে না। সন্তানের মুখ দেখতে গেলে নাকি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই হবে। এই অদ্ভুত বিশ্বাস থেকেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন গ্রামের পুরুষরা।
তবে শুধুমাত্র এটিই নয়, আরও একটি কারণ রয়েছে এমন আজব রীতির পিছনে। আর সেটি হল, গ্রামে তীব্র জলসঙ্কট। অন্তত পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে পরিবারের মহিলাদের জল আনতে হয় এই গ্রামে।
অন্তঃসত্ত্বা হলে কোনও মহিলার পক্ষেই হেঁটে জল আনা সম্ভব নয়। সে কারণেও দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকেন পুরুষেরা। সেক্ষেত্রে প্রথমজনকে সেভাবে স্ত্রী-র কোনও অধিকারই দেওয়া হয় না।
তাঁরা বরং বাড়ির পরিচারিকার মতো জীবন কাটিয়ে থাকেন। প্রথম স্ত্রীকে বলা হয় ‘জল স্ত্রী’। কোনও পুরুষ যদি এই রীতির বিরোধিতা করেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে পুরো গ্রাম একজোট হয়। এমনকি নিজের পরিবারও তাঁকে পরিত্যাগ করবে। গ্রাম থেকেই বিতাড়িত করা হয় তাঁকে। কি, এমন রীতি আজব নয়!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন