সমকালীন প্রতিবেদন : দু'সপ্তাহ কেটে গেলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের। সুড়ঙ্গের ভিতর এখনও আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।
তবে বারবারই উদ্ধারকাজে আসছে একের পর এক বাধা। মাঝেমধ্যেই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে উদ্ধার অভিযানে। কয়েকদিন আগেই উদ্ধার অভিযানে ব্যবহার করা হচ্ছিল অগার মেশিন। সেই মেশিনটি সম্প্রতি লোহা-ইস্পাতের টুকরোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। যার জেরে উদ্ধারকাজ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
সূত্রের খবর, সুড়ঙ্গের ভিতরে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে এখনও বাকি ১০ মিটার। এই পর্যায়ে পৌঁছে অগার মেশিন ভেঙে যাওয়ায় ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এবার পাথর ভাঙার কাজ করবে মানুষই।
তেমনটা হলে ৪১ জন শ্রমিককে সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করতে আরও অনেক বেশি সময় লাগবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রে দাবি, পাথর ভাঙতে আরও ৩-৪ দিন সময় লাগতে পারে।
এই অবস্থায় শ্রমিকরা যাতে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন, তার জন্য সাইটে ল্যান্ডলাইন এর বন্দোবস্ত চলছে। বিএসএনএল-এর এই ল্যান্ডলাইনের কানেকশন দেওয়া হবে।
পাইপলাইনের মাধ্যমে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে ল্যান্ডফোন পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিস্ক জানিয়েছেন, 'বড়দিনের মধ্যেই শ্রমিকেদের উদ্ধার করা যাবে বলে আশা রাখছি। এটা অনেকটা সময়। তাঁরা এখন নিরাপদে ও সুস্থ আছেন।'
তাড়াতাড়ি করলে বিপদ বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তাই এখন দিনগোনা ছাড়া আর উপায় নেই কারো হাতেই। এদিকে, শ্রমিকদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে এবার ভার্টিকাল ড্রিলিং এর মাধ্যমে উদ্ধারকাজে হাত লাগানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ভার্টিকাল ড্রিলিং এর কাজ শুরু হয়ে গেছে। আপাতত এই পদ্ধতিই আটকে পরা শ্রমিকদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে অন্যতম ভরসা বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। অন্যদিকে, ভেঙে যাওয়া অগার মেশিনের অংশ কেটে কেটে বের করে আনার কাজ চলছে।
এরজন্য প্লাজমা এবং লেজার মেশিনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই দুটি মেশিন দিয়ে অগার মেশিনের অংশ বাইরে বের করে আনার চেষ্টা চলছে। তবে সেই কাজ কতক্ষণে শেষ হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন