সমকালীন প্রতিবেদন : দীর্ঘ ১৭ দিন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে চোখ ছিল গোটা দেশের। কারণ, সেই সুড়ঙ্গের গভীরে আটকে ছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। তাদের উদ্ধার করতে দেশ-বিদেশ থেকে আনা হয়েছিল উন্নতমানের যন্ত্র। এসেছিলেন তাবড় তাবড় প্রযুক্তিবিদরাও।
কিন্তু এই যন্ত্রের যুগেও শেষ পর্যন্ত হাতই হল ভরসা। উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ইঁদুরের মতো খননকাজ চালিয়ে এল সাফল্য। ১৭ দিন পর মঙ্গলবার উদ্ধার করে আনা হল ৪১ জন শ্রমিককে। মঙ্গলবার রাত ৭টা ৪৯ মিনিট থেকে শুরু হয় চূড়ান্ত অভিযান। শেষ হয় ৮টা ৩৮ মিনিটে।
একে একে সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসেন শ্রমিকেরা। মুখে চওড়া হাসি। পরিবারকে চোখের সামনে পেয়ে যেন দ্বিতীয় জন্ম পেলেন তারা সকলেই। কিন্তু তাদের এই পুনর্জন্ম যারা দিলেন, সেই ১২ জন সুপারহিরোকে হয়তো চেনেন না অনেকেই। কারণ, তারা ক্রিকেট ও রাজনীতির দেশে ঘটিয়েছেন এমন কাজ, যা দেখে খোদ প্রধানমন্ত্রীও তাদের স্যালুট করেছেন। গোটা দেশ তাদের নমস্কার করছে।
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই উদ্ধারকাজে যুক্ত থাকা প্রত্যেকের সাহস ও মনোবলকে সেলাম জানাচ্ছি। তাঁদের সাহসিকতা ও সংকল্পের কারণেই আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা নয়া জীবন পেলেন। এই অভিযানে যুক্ত থাকা প্রত্যেকে মানবিকতা এবং টিমওয়ার্কের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উদাহরণ তৈরি করলেন।'
কিন্তু এই র্যাট হোল মাইনিং কী? এর অর্থ হল ইঁদুরের গর্ত খনন। এটি একটি বিতর্কিত এবং বিপজ্জনক প্রক্রিয়া। এটির মাধ্যমে ৪ ফুটের সরু একটি গর্ত খনন করা হয়। কয়লা তোলার একটি অভিনব পদ্ধতি এটি।
খনি শ্রমিকেরা কয়লা সীমায় পৌঁছে গেলে, কয়লা উত্তোলনের জন্য পাশে টানেল তৈরি করা হয়। উত্তোলিত কয়লা কাছাকাছি ডাম্প করা হয় এবং পরে উত্থিত করা হয়। আর সেই পদ্ধতি অবলম্বন করেই মঙ্গলবার ইতিহাস লিখলেন এই ১২ জন সুপারহিরো, যা মনে রাখবে গোটা দেশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন