Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩

গাজায় ঢুকে হামাস প্রধানের বাড়িকেও গুঁড়িয়ে দিলো ইহুদি সেনা

Hamas-chief

সমকালীন প্রতিবেদন : ইজরায়েল বনাম হামাসের যুদ্ধের ২৮ দিন পার হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গাজা ঘিরে ফেলেছে ইজরায়েলের সেনা। ক্রমেই গাজা ঘিরে চলছে মুহুর্মুহু গোলা বর্ষণ। এই পরিস্থিতির মাঝে উত্তর গাজায় ব্যাপক বোমা বর্ষণ করেছে ইজরায়েল সেনা। 

হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্সের পর ফের গাজার শরণার্থী শিবিরে হামলার অভিযোগ উঠল ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। জোড়া হামলায় অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস পরিচালিত ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রক’। 

মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু হওয়ায় এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি। উত্তর গাজায় রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত স্কুল আপাতত শরণার্থী শিবিরে পরিণত হয়েছে। সেখানে তাঁবু খাটিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত বহু মানুষ। 

অভিযোগ, শনিবার সেখানেই আছড়ে পড়ে ইজরায়েলি গোলা। একবার নয়, দু-দুবার হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস গোষ্ঠী। এদিকে, গতকালই উত্তর গাজায় অবস্থিত হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর বাড়িতেও ব্যাপক গোলা বর্ষণ করেছে ইজরায়েল। 

উত্তর গাজার আল শাথিতে রয়েছে হামাসের প্রধান হানিয়াহর বাড়ি। সেখানে বোমা বর্ষণ হয়েছে বলে খবর। তবে প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার সময় হানিয়াহ কোথায় ছিলেন? প্রশ্ন এও রয়েছে যে, বোমা বর্ষণের কালে ওই বাড়িতে হানিয়াহর পরিবারের কোনও সদস্য সেখানে ছিলেন কী না। 

তবে ধরে নেওয়া হচ্ছে, ঘটনার সময় আল শাথির বাড়িতে হামাস প্রধান ছিল না। অন্যদিকে, ইজরায়েলকে দমন করতে এবার বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে হামাস। জানা গেছে, গাজা সিটি জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন টানেলে মিসাইল, খাবার, ওষুধ, অস্ত্র মজুত করেছে হামাস বাহিনী। 

তা দিয়ে এক মাস যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম তাঁরা। ইজরায়েলি সেনাকে হতাশ করে দিতে গেরিলা কৌশলও হামাসের তৈরি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হামাসের কাছে এই মুহূর্তে ৪০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। 

হামাসের দাবি যদি সত্যি হয় এবং ইজরায়েল যদি হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত আক্রমণের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, তাহলে গাজা সিটির পরিস্থিতি আগামী দিনে আরও ভয়ঙ্কর হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন