Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩

এল-নিনোর মারাত্মক প্রভাবে প্রতিমাসে আঘাত হানতে পারে ভয়ঙ্কর সব সাইক্লোন

 

Terrible-cyclone

সমকালীন প্রতিবেদন : এল নিনো একটি স্প্যানিশ শব্দ। এককথায় এর অর্থ হল আচমকা অসময়ে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন। অর্থাৎ এল নিনোর মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ সমুদ্রস্রোতকে বোঝানো হয়। 

এই স্রোতের ফলে উষ্ণ হয়ে ওঠে দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূল, বিশেষ করে পেরুর দিকটি। এর ফলে তাপমাত্রা বাড়ে ব্যাপকভাবে। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধের পুবালী বায়ুর প্রবাহ বদলে যায়। 

তবে এবার বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে উত্তর গোলার্ধ। এল নিনোর প্রভাবে এবার উত্তর গোলার্ধের একাধিক দেশে দেখা যেতে পারে প্রকৃতির এক অন্য রূপ। আর এই তালিকায় ভারতের নামও রয়েছে। অর্থাৎ ভারতে এর প্রভাব পড়তে পারে ব্যাপকভাবে। 

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, আঠারোশো শতকের মাঝামাঝি সময়ে সব মিলিয়ে ৩২টি এল নিনো শনাক্ত করা হয়েছিল। এছাড়া ১৯৪০-১৯৪১, ১৯৫৭-১৯৫৮ এবং ১৯৭২-১৯৭৩ সালে নাকি সবথেকে শক্তিশালী এল নিনোকে সনাক্ত করা হয়েছিল। 

তবে শেষবার ২০১৫-১৬ সালে এল নিনোর ধ্বংসাত্মক প্রভাব দেখেছিল ভারত। ওই বছর মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছিল। একাধিক রাজ্যে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সে বছরও প্রায় স্বাভাবিক ছিল বর্ষা। 

কিন্তু, এল নিনো এসে সব ছারখার করে দিয়েছিল। ভয়াবহ বিপদের মুখে উত্তর গোলার্ধ। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে উত্তর গোলার্ধে আছড়ে পড়বে সুপার এল নিনো। তিন ভাগের মধ্যে এক ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে, এই পরিস্থিতির জেরে আবহাওয়ায় বিরাট পরিবর্তন হতে চলেছে।

কিন্তু ঠিক কি কি ঘটবে এর প্রভাবে? জানা গেছে, এর প্রভাবে ভারতের তাপমাত্রা বাড়বে ব্যাপকভাবে। ২০২৪ সালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির নিরিখে আগের সব রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। 

জানা গেছে, আগামী বছর ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে তাপমাত্রা। এছাড়াও, সুপার এল নিনোর জেরে ভারতে ঘন ঘন পরিবর্তন হবে আবহাওয়ার। কখনও মারাত্মক বৃষ্টি, কখনও ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা আবার কখনও খরা পরিস্থিতি তৈরি হবে ভারতে। আবার হতে পারে ভয়াবহ বন্যাও। 

ভারতে এল নিনো চূড়ান্ত প্রভাব ফেলবে আগামী বছর। ক্রমশ বর্ষা দুর্বল হতে শুরু করবে দেশে। এরপর তা শুষ্ক থেকে শুষ্কতর আবহাওয়া তৈরি করবে ভারতে। কমতে শুরু করবে বৃষ্টিপাত। 

জানা গেছে, দক্ষিণ ভারতের তুলনায় উত্তর ভারতে এই এল নিনোর দাপট বেশি হবে। তাই এই বিপর্যয় থেকে বাঁচতে অবশ্যই গাছ লাগাতে হবে ব্যাপকভাবে। এমনটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলেই হয়তো বাঁচবে আমাদের সুন্দর পৃথিবী। 








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন