Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩

গাজায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে হামাস গোষ্ঠীকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে তৈরি ইহুদি সেনারা

 

Surgical-strikes-in-Gaza

সমকালীন প্রতিবেদন : বারুদের গন্ধে ভরে উঠেছে মিডল ইস্টের চারপাশ। ইজরায়েল হামাস যুদ্ধ যেন ক্রমেই বিভীষিকা তৈরি করছে গোটা বিশ্বে। ইতিমধ্যে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে। বোমারু বিমানের এয়ার স্ট্রাইক ও মিসাইল হানায় রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে ইজরায়েল ও গাজা ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। 

এর মাঝেই যুদ্ধের নবম দিনে হামাস গোষ্ঠীকে একের পর এক ধাক্কা দিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। তারপরই ইজরায়েলের তরফে উত্তর গাজার ১১ লক্ষ বাসিন্দাকে অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মাত্র তিন ঘণ্টা সময় দেওয়া হয় এলাকা ছাড়ার জন্য। 

কীভাবে উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজায় পৌঁছবেন নাগরিকরা, তার সুরক্ষিত রুটও বলে দেওয়া হয়। নির্দেশ মতো তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়তে থাকেন গাজাবাসীরা।সেখানেও পথের ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়ায় হামাস বাহিনী। অভিযোগ, ইজরায়েলের নির্দিষ্ট করে দেওয়া সুরক্ষিত রুটেই হামলা করছে হামাস। 

বোমাবর্ষণ চলছে লাগাতার। গাড়ির চাবি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, যাতে গাজা ছেড়ে যেতে না পারেন বাসিন্দারা। তাই এই মুহূর্তে সেখানের সাধারণ মানুষের প্রাণ যেন ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে দুলছে এদিক ওদিক। তাদের অবস্থা যেন সামনে কুয়ো, পিছনে খাদ। 

কারণ, আর অপেক্ষা করতে রাজি নয় ইজরায়েলি সেনা বা আইডিএফ। মিলিটারির মুখপাত্র জানান, গাজায় অভিযান চালাতে প্রস্তুত সেনা। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বর্তমানে। সবুজ সঙ্কেত মিললেই সর্বশক্তি দিয়ে গাজায় হামাসের উপরে হামলা চালানো হবে।

গাজায় যাতে হামলা না চালানো হয়, তার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের একাধিক দেশ ইজরায়েলের উপরে চাপ সৃষ্টি করছে। জানা গেছে, খোদ আমেরিকা এই হামলা করতে বারণ করছে ইজরায়েলকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই বিষয়ে আলোচনার জন্য শীঘ্রই আসতে পারেন ইজরায়েলে। যদিও ইরান কিন্তু এখনো চোখ রাঙাচ্ছে ইজরায়েলকে। 

ইরানি সেনাদের মতে, যদি ইহুদিপন্থীরা এই আগ্রাসন বন্ধ না করে, তবে মধ্য প্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলির হাতও ট্রিগারে রয়েছে। কারণ, ইরান মনে করে যে গাজায় হামলা যুদ্ধের নতুন আঙিনা খুলে দেবে। এই যুদ্ধের সম্পূর্ণ দায়ভার আমেরিকা ও জিয়োনিস্ট শাসকদের উপরেই পড়বে।

বর্তমানে গাজা সীমান্তে মিসাইল, ট্যাঙ্কার, সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইজরায়েলি সেনা। সবুজ সঙ্কেত মিললেই শুরু হবে মুহূর্মুহূ গোলাবর্ষণ। কিন্তু যুদ্ধ দিয়েই কি সব সমস্যার সমাধান হয়? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছে। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন