Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩

‌চাঁদের বুকে নতুন করে রাত নামলেও ঘুম ভাঙানো যায়নি ল্যান্ডার ও রোভারের

New-night-in-the-moon

সমকালীন প্রতিবেদন : চাঁদের মাটিতে পৌঁছে প্রথম কয়েক দিন দাপট দেখিয়ে কাজ করে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩। চাঁদের এবড়োখেবড়ো মাটিতে রোভারের ছুট দেখে চমকে গেছে অন্যান্য সব দেশ। তারপর তাদের ছোটাছুটি, লেজার দিয়ে চাঁদের মাটি পরীক্ষা, সালফারের উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া থেকে শুরু করে হপ এক্সপেরিমেন্ট- সবেতেই ফার্স্ট বয় হয়েছে দুজনেই। 

তবে চাঁদের বুকে রাত নামতেই যেন নিস্তেজ হয়ে পড়েছে তারা। ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে জাগাতে কালঘাম ছুটছে ইসরোর। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, চন্দ্রযান-৩ মিশনের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান কি 'জেগে' উঠবে? এর উত্তর আপাতত নেই। 

তবে এমনটা যে হবে সেই আশা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। কারণ, গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে চাঁদে সূর্যাস্ত হতে শুরু করেছে। অর্থাৎ আবারও চাঁদে প্রবল ঠান্ডা পড়বে। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচেও যেতে পারে। 

সেই পরিস্থিতি সামলে বিক্রম এবং রোভারের ‘জেগে’ ওঠার সম্ভাবনা যথেষ্ট কঠিন বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। তবে চাঁদের বুকে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ঘুম না ভাঙলেও যে তেমন ক্ষতি নেই, তা অনেকদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ইসরো প্রধান। 

কারণ, প্রত্যাশার থেকে অনেক বেশি কাজ করেছে চন্দ্রযান-৩। একমাত্র ভারতের এই নভোযানই চাঁদের মাটিতে খুঁজে পেয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, সিলিকন, অক্সিজেন, ম্যাঙ্গানিজ, টাইটেনিয়াম। 

এর মাঝেই করা হয় তার হপ এক্সপেরিমেন্ট। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যতে নমুনা ফেরত এবং মানব মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। 

বিক্রম এবং প্রজ্ঞান ঘুমিয়ে থাকলেও সক্রিয় হয়ে ক্রমাগত নিজের কাজ করে যাচ্ছে চন্দ্রযান-৩ এর প্রোপালশন মডিউল। একটি বৈজ্ঞানিক পেলোড রয়েছে প্রোপালশন মডিউলের ভিতর। 

এটি ৫২ দিন ধরে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। জানা গিয়েছে, আগামী ছয় মাসের জন্য এই মডিউলটি কাজ করবে। তাই একথা বলাই যায় যে, বিক্রম-প্রজ্ঞান ঘুমিয়ে পড়লেও চন্দ্রযান-৩-এর চমক কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন