Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩

হামাসের মিলিটারি হেডকোয়ার্টাসে সরাসরি এয়ারস্ট্রাইক চালালো ইহুদি সেনা

 

Airstrikes-carried-out-by-the-Jewish-army

সমকালীন প্রতিবেদন : আজ নিয়ে ১৭ দিনে পড়ল ইজরায়েল ও হামাস যুদ্ধ পরিস্থিতি। কিন্তু এখন যেন বারুদের গন্ধে ঢেকে রয়েছে ইজরায়েল ও গাজা প্রদেশের আকাশ। এখনো সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে দুই দেশই। 

গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাস বাহিনীর জঙ্গি হামলার পর থেকে গাজা ভূখণ্ড জুড়ে লাগাতার আকাশপথে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। এর মধ্যে, গাজায় স্থলপথে হামলা চলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব। 

তার আগে, উত্তর গাজার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের গাজার দক্ষিণাংশে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েল। এবার, শুধু চলে যেতে বলা হবে, না গেলে যে তাদের পরিণতি হবে  মৃত্যু, তাও জানিয়ে দিল ইজরায়েলি বাহিনী। 

এককথায় ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ দিনে দিনে আরও বাড়ছে৷ গাজায় জ্বালানি শেষের পথে৷ সদ্যোজাত শিশু থেকে গুরুতর জখম ব্যক্তিদের প্রাণ বাঁচাতে লড়ছেন চিকিৎসকরা। তবে এর মাঝে প্যালেস্তাইনে ত্রাণ পাঠাল ভারত। ৬.৫ টন ওষুধ, ৩২ টন বিপর্যয় মোকাবিলা সামগ্রী প্যালেস্তাইনে পাঠিয়েছে ভারত। যে সামগ্রীগুলি মিশরের পথে পৌঁছবে প্যালেস্তাইনে। 

ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, ‘ প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ, অস্ত্রোপচারের সামগ্রী, তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, ত্রিপল, স্যানিটারি ইউটিলিটি, জল বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানো হয়েছে।'

পরিস্থিতি জটিল হলেও এখনো যুদ্ধ থামার কোনো সম্ভাবনা কিন্তু তৈরি হচ্ছে না। গাজায় হামলা বন্ধ না করলে ইজরায়েলে পাল্টা আঘাত হানার কথা ঘোষণা করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লা। 

লেবাননের এই মৌলবাদী সংগঠন হামাসের থেকেও শক্তিশালী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ইজরায়েলের উত্তর সীমান্ত দিয়ে হিজবুল্লা আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সে জন্য ইজরায়েল সেনা সতর্ক নজর রাখছে সে দেশের উত্তরাংশে। 

ইজরায়েলের উত্তরাংশের সেনা ক্যাম্পে রবিবার গিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানে গিয়ে হিজবুল্লার উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। হিজবুল্লা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। 

তিনি বলেছেন, 'যদি হিজবুল্লা যুদ্ধ শুরু করে, সেটা দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে। এটা তাদের জীবনের বড় ভুল হবে।' কিন্তু এই যুদ্ধ বন্ধ হোক, এটাই হয়তো চাইছেন দুই দেশের সাধারণ মানুষ। কিন্তু কবে? প্রশ্নটার কোনো উত্তর নেই কারো কাছেই। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন