সমকালীন প্রতিবেদন : প্রায় একমাস হতে চলল ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ। দিন দিন আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে এই দুই দেশের লড়াই। তবে এই মুহূর্তে হামাসকে রীতিমতো কোনঠাসা করেছে ইহুদি দেশ ইজরায়েল। বর্তমানে গাজা ভূখণ্ডের এক একটা অংশ ধরে ধরে হামাসের আস্তানাগুলিকে সাফ করে এগিয়ে যাচ্ছে ইহুদি সেনাবাহিনী।
বর্তমানে এই রণকৌশল নিয়েছে ইজরায়েল। ইন্টারনেট, ফোনের নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। যুদ্ধ বন্ধের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে বারংবার অনুরোধ ভেসে আসছে ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর কাছে। তবে সেই সব অনুরোধে কান দিতে নারাজ নেতানিয়াহু। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, এই মুহূর্তে যুদ্ধ থামানোর কোনও পরিকল্পনাই নেই। আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে যুদ্ধ।
এদিকে, এই যুদ্ধ ক্রমেই আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৭টি মসজিদ ও ৭টি গীর্জা ধূলিসাৎ হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, গত তিন সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০৩টি স্কুল এবং ৮০টি সরকারি অফিস পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।
ইজরায়েলি বোমা হামলায় এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ২০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২ হাজার ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলের অব্যাহত গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলায় গাজার নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে, যাদের অর্ধেকই শিশু।
এই অবস্থাতেও যুদ্ধ থামবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধান। সোমবার তেল আভিভে নেতানিয়াহু বলেন, 'গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না। লড়াই থামানো মানেই হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ করা। তাই এই মুহূর্তে সংঘর্ষবিরতি সঠিক পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি না।
এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলকে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানানো মানেই হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ করার শামিল। এই যুদ্ধে জয় হস্তগত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।' অন্যদিকে, দুই দেশের সাধারণ মানুষ চাইছেন যে শেষ হোক এই প্রাণঘাতী লড়াই, বন্ধ হোক যুদ্ধের দামামা। যদিও সেটা কবে বা কখন হবে, তা জানা নেই কারোরই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন