Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার নতুন অভিযান সূর্য

 

New-campaign-Surya

সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার জগতে ২৩ আগস্ট শুধু একটা তাৎপর্যপূর্ণ দিন নয়, এখন থেকে ২৩ আগস্ট 'ভারতের জাতীয় মহাকাশ দিবস'। কিন্তু কোনও গবেষণাই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থেমে যেতে পারে না। তাই ইসরোও এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। পরবর্তী মিশন সূর্য অভিযান। কিন্তু কেন? এই প্রশ্ন স্বাভাবিক কারণেই আসবে। 

ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যেকার লেগরেঞ্জ পয়েন্টে অবস্থান করবে সৌরযানটি। প্রশ্ন উঠেছে এই লেগরেঞ্জ পয়েন্ট কি? এই সৌর জগতে সূর্য ও পৃথিবী পারস্পরিক আকর্ষণ ও বিকর্ষনের ফলে মাঝামাঝি জায়গার স্থিতিশীল অবস্থানকেই বলা হয় লেগরেঞ্জ পয়েন্ট। এটাকে আবার মহাকাশের পার্কিং পয়েন্টও বলা হয়। 

এই পার্কিং পয়েন্ট হলো সূর্যের উপর নজরদারি চালানোর জায়গা। এই অঞ্চল থেকে কম জ্বালানি খরচ করে, মহাজাগতিক কর্মকাণ্ডের উপর নির্বিঘ্নে নজরদারি চালানো যায়। সূর্যের আলোকমণ্ডলের তাপমাত্রা কয়েক লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। এই অঞ্চলের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি। 

ব্রহ্মাণ্ড, পৃথিবী, গ্রহ, উপগ্রহগুলি কীভাবে সূর্যের দ্বারা প্রভাবিত, এই আলোকমণ্ডলের মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রার পিছনে কারণই বা কী, তা পর্যবেক্ষণ করবে আদিত্য-এল 1 সৌরযানটি। ‌নজরদারি চালাতে আদিত্য-এল 1 ব্যবহার করবে করোনাগ্রাফ। 

এখন প্রশ্ন- কী এই করোনাগ্রাফ? ইসরোর পক্ষ থেকে বেশ প্রাঞ্জল ভাষায় বোঝানো হয়েছে এই করোনাগ্রাফকে। সৌরযানের উপর বসানো চাকতির মতো একটি যন্ত্র। এতে সূর্যরশ্মি আবদ্ধ হয় এবং চাকতির মধ্যেই সূর্যের বহিরাবরণ ফুটে ওঠে। আর সেটি দেখেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো সম্ভব হয়। 

এই করোনাগ্রাফ না থাকলে সেন্সর কাজ করে না সৌরযানের। এটি সূর্যের আশেপাশের প্লাজমা পরিবেশ অধ্যয়ন করবে, সঙ্গে সূর্যের করোনার চৌম্বক ক্ষেত্র সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। এর ফলেই সামনে চলে আসবে মহাকাশ আবহাওয়ার প্রধান চালিকা শক্তির উৎস।

এখানে মনে রাখতে হবে, করোনাগ্রাফ ছাড়া আরও ছ'টি যন্ত্র থাকছে সৌরযান আদিত্য-এল 1 এ। সব মিলিয়ে ৭ টি যন্ত্র। দূর থেকে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করার কাজে ব্যবহৃত হবে চারটি যন্ত্র। বাকি তিনটি যন্ত্র সূর্য থেকে সৌরঝড়ের বাইরে ঠিকরে বেরনো অণু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে। সৌরজগতের উপর তার কী প্রভাব, তাও খতিয়ে দেখবে। 

এখানেই মনে রাখতে হবে, আদিত্য-এল 1 সূর্যের করোনা, ক্রোমোসফিয়ার, ফটোস্ফিয়ার এবং সৌরবায়ুর অবস্থান নিয়েই পরীক্ষা–নিরীক্ষা করবে। আদিত্য-এল 1 একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। এটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবে। 

এখনও পর্যন্ত ২ সেপ্টেম্বর সূর্য অভিযানের তারিখ ঠিক হয়ে রয়েছে। ১৪০ কোটি ভারতবাসী সেই অভিযানের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে। চন্দ্রযান-৩ যেখানে ৪০ দিনে চাঁদে পৌঁছায়, সেখানে মহাকাশ পার্কিং প্লেসে আদিত্যর পৌঁছাতে সময় লাগবে ১২০ দিন। পৃথিবী থেকে ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে আদিত্য-এল 1 কে লেগরেঞ্জ পয়েন্টে স্থাপন করা হবে।






‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন