Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আমেরিকার রকেট উৎক্ষেপণে বায়ুমন্ডলে তৈরী হলো বিশাল ছিদ্র

 

Huge-hole-in-the-atmosphere

সমকালীন প্রতিবেদন : পৃথিবীর চারিদিকে বলয়ের মতো আবৃত করে আছে একাধিক বায়ুমন্ডল। আর এই বায়ুমন্ডল সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্র থেকে আগত অতিবেগুনী রশ্মি সহ একাধিক বিষাক্ত গ্যাস থেকে পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বায়ুমন্ডলের ওই স্তর আয়নোস্ফিয়ার নামে পরিচিত। মহাকাশ গবেষকদের একাংশের কাছে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

কিন্তু কোনও কিছুকে তোয়াক্কা না করেও মার্কিনি রকেট ওই স্তরে সৃষ্টি করলো এক বিরাট গর্ত, যা নিয়ে রীতিমতো শঙ্কিত বিশ্ববিজ্ঞানীদের একাংশ। তবে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে খুব বেশি কিছু প্রভাব পড়বে না পৃথিবীর উপর। 

জানা যাচ্ছে, আমেরিকার নিরাপত্তাবাহিনীর ‘স্পেস ফোর্স’ গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভ্যান্ডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে আলফা রকেটসমূহ উৎক্ষেপণ করে। সেই রকেটে ‘স্পেস ফোর্সে’র Victus Nox স্যাটেলাইট রয়েছে, লাতিন ভাষায় যার অর্থ ‘রাত্রি বিজয়।' আমেরিকার রাত্রি বিজয় হলো কি না জানা যায় নি, কিন্তু এর ফলে পৃথিবীতে নেমে আসতে পারে বড় বিপদ।

আমেরিকা এই রকেট উৎক্ষেপণের কথা গোপন রাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারে নি। জানা যাচ্ছে, আচমকা বিষয়টি জানতে পেরে হতবাক হয়েছিলেন অনেকেই। এই রকেট উৎক্ষেপণের কারণেই বায়ুমণ্ডলের উপরিস্থলে ছিদ্র তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। 

১৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ১০টা বেজে ২৮ মিনিটে ওই রকেট উৎক্ষেপন করা হয়। বিষয়টি মোটামুটি গোপনই রেখেছিল আমেরিকা। কিন্তু রকেট উৎক্ষেপণের পর প্রচুর ধোঁয়া এবং রাতের আকাশ উজ্জ্বল হয়ে উঠতে দেখেই টনক নড়ে সকলের। 

মহাকাশ গবেষকেরা যথেষ্ট শঙ্কিত এই বিষয় নিয়ে। প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দূর থেকেও ওই রকেটটি দৃশ্যমান ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু রকেটটি নজরের বাইরে চলে যাওয়ার পরেও দীর্ঘাকার ঈষৎ রক্তিম আভা চোখে পড়ে রাতের আকাশে। ফলে এর ব্যাপক প্রভাব হয়তো পড়তে চলেছে পৃথিবীর জীবকুলের উপরে। 

পৃথিবী থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রকেটটি যে বায়ুমণ্ডলে ছিদ্র তৈরি করেছে, ওই রক্তিম আভাই তার চিহ্ন বলে দাবি মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানিয়েছেন, বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারে ছিদ্র তৈরি করেছে আমেরিকার রকেট। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের যে অংশে গ্যাস আয়নিত হয়, সেই অংশকেই বলা হয় আয়নোস্ফিয়ার। ভূপৃষ্ঠের ৮০ থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত সেটি। 

তবে একদল বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এর ফলে ব্যাপক কোনও প্রভাব পড়বে না। এভাবেই মেরুজ্যোতি তৈরী হয়। প্রকৃতি নিজস্ব উপাদান দিয়ে ওই বিষাক্ত গ্যাস নিচে আসার আগে নষ্ট করে দেবে। তাই অযথা শঙ্কিত না হতে বলেছেন তাঁরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, আমেরিকা কেন বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিল?‌







‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন