Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

চন্দ্রযান-৩ ‌এ ধরা পড়ল চাঁদের ভূমিকম্প, চমক লাগলো ইসরোর বিজ্ঞানীদের

 

Earthquakes-on-the-moon

সমকালীন প্রতিবেদন : চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে প্রজ্ঞান। আর এবার সেই পরীক্ষায় উঠে এলো এক অবাক করার মতো তথ্য। চাঁদের মাটিতে এবার ভূমিকম্পের অস্তিত্ব টের পেলো রোভার প্রজ্ঞান। 

চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান চন্দ্রপৃষ্ঠে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর মধ্যেই কেঁপে উঠেছিল চাঁদের মাটি। এমনটাই জানিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, গত ২৬ অগস্ট ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদে একটি ‘প্রাকৃতিক’ ভূমিকম্প চিহ্নিত করেছে। 

ইসরো তাদের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লিখেছে, 'তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডারের পেলোড ইলসা, রোভার এবং অন্যান্য পেলোডের গতিবিধির কারণে হওয়া কম্পন চিহ্নিত করেছে। একই সঙ্গে ২৬ আগস্ট সেটি আরও একটি কম্পন চিহ্নিত করেছে। যা প্রাকৃতিক বলে মনে করা হচ্ছে।'‌ 

এই বিষয়ে ইসরো জানিয়েছে, ল্যান্ডারের ভূমিকম্প শনাক্তকারী পেলোড ইলসা এই কম্পন শনাক্ত করেছে। ইলসা অর্থাৎ ইনস্ট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসমিক অ্যাকটিভিটি পেলোড দিয়ে চাঁদের মাটির কম্পন পরীক্ষা করছে প্রজ্ঞান। 

এই পেলোডের কাজ গুরুত্বপূর্ণ। চাঁদের মাটিও ভূমিকম্পপ্রবণ। এই পেলোড পরীক্ষা করবে চাঁদের মাটিকে কীভাবে কম্পন হয়, কতক্ষণ ধরে তা চলে এবং অবশ্যই সেই কম্পনের মধ্যে পড়লে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের কোনও ক্ষতি হবে কিনা! 

মাইক্রো ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেম প্রযুক্তি ভিত্তিক যন্ত্রটি মাটির যে কোনও প্রকার কম্পন বুঝতে পারে। প্রজ্ঞান ও তার পেলোডগুলি ঘোরাফেরা করার সময় চাঁদের মাটিতে যে কম্পন হয়েছে, তাও রেকর্ড করেছে ওই যন্ত্র। আর এসবের মাঝেই ধরা পড়েছে অন্যরকম এক তরঙ্গ। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ওই কম্পন ভূমিকম্পেরই। খুবই অল্পমাত্রার তরঙ্গদৈর্ঘ্য যন্ত্রে ধরা পড়েছে।

এই কম্পনের উৎস কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরো। উল্লেখ্য, পৃথিবীতে ভূমিকম্প হয় কারণ, পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ভূ কাঠামো সক্রিয়। কিন্তু পৃথিবীর মতো চাঁদেও ভূমিকম্প হয়ে থাকে। চাঁদে কেন ভূমিকম্প হয়, তা এখনও অধরা। 

অ্যাপেলো যুগে চাঁদে যে সকল সিসমোমিটার রাখা হয়েছিল, সেগুলি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চাঁদের মাটিতে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করে। সেখানে দেখা গিয়েছে, চাঁদ ভূতাত্ত্বিক দিক দিয়ে সক্রিয়। কিন্তু কেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে তারই গবেষণা চালাচ্ছে চন্দ্রযান-৩। হয়তো আগামীতে হবে এই রহস্যের সমাধান। 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন