Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ভারতে বার্থ সার্টিফিকেট অন্যতম প্রধান নথি হিসেবে বিবেচিত হল

 

Birth-certificate

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌ভারতে বার্থ সার্টিফিকেট অর্থাৎ জন্ম শংসাপত্রই হয়ে উঠলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি। এখন থেকে এই নথি দেখিয়েই মিটবে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সংসদের বাদল অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এইমর্মে একটি নতুন বিলে সই করেছেন। এই বিলে দেশবাসীর নথি হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে কিছু নথি। 

এই আইন অনুযায়ী সেখানে বার্থ সার্টিফিকেটের গুরুত্ব যথেষ্ট বা‌ড়ানো হচ্ছে। এই নিয়মে জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে গত ১৩ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ২০২৩ আইনের ১-এর উপধারা ২ অনুযায়ী নয়া নিয়ম ১ অক্টোবর থেকে লাগু হবে।

অর্থাৎ, ১ অক্টোবর থেকে আসছে নতুন নিয়ম। যদি এবার থেকে কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন করতে চান, কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড বা পাসপোর্ট বানাতে চান তাহলে এবার থেকে বয়সের প্রমাণের জন্য কেবল বার্থ সার্টিফিকেট হলেই চলবে। তাই যদি বার্থ সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে আর হালকাভাবে নেবেন না। ১ অক্টোবর থেকে বার্থ সার্টিফিকেটের ভূমিকা বাড়তে চলেছে। 

এবার থেকে এই বার্থ সার্টিফিকেটই হবে একাধিক বিষয় প্রমাণের একটি নথি। এই নয়া আইনের উদ্দেশ্য হল, নিবন্ধিত জন্ম এবং মৃত্যুর জন্য একটি জাতীয় ও রাজ্য স্তরের ডেটাবেস তৈরি করা। তাই যদি আপনার পরিবারের শিশু বা কোনও ব্যক্তির বার্থ সার্টিফিকেট না থাকে, তাহলে দ্রুত এটির জন্য আবেদন করুন।

এবার দেখে নিন যে কীভাবে পাবেন এই বার্থ সার্টিফিকেট? স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ, শহরাঞ্চলে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং গ্রামাঞ্চলে মহকুমা শাসকের কার্যালয় বা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। 

যে হাসপাতালে শিশুর জন্ম হয়, সেই হাসপাতাল থেকেই বার্থ সার্টিফিকেটের রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পাওয়া যায়। না হলে সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও এই রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ডাউনলোড করা যায়। 

সন্তানের জন্মের ২১ দিনের মধ্যে ফর্মটি পূরণ করুন। জন্মের তারিখ, সময়, জন্মস্থান, পিতামাতার পরিচয়ের প্রমাণ এবং নার্সিং হোম বা হাসপাতালের বিবরণ দিতে হবে। ফর্মটি জমা দেওয়ার পর রেজিস্ট্রার রেকর্ডগুলি যাচাই করে। এরপর, বার্থ সার্টিফিকেট জারি করতে সাত দিন পর্যন্ত সময় লাগে। 

শিশুর জন্মের ২১ দিনের মধ্যে জন্মের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন না করা হলে, দেরির জন্য মূল্য দিতে হতে পারে। তবে, সেক্ষেত্রে একজন জেলাশাসক স্তরের সরকারি আধিকারিককে দিয়ে জন্ম তারিখ যাচাই করিয়ে নিতে হবে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন