সমকালীন প্রতিবেদন : নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিরোধী দলগুলির জয়ী সদস্যদের তৃণমূলে যোগদানের ঘটনা পর পর ঘটেই চলেছে। বুধবারও বনগাঁ ব্লকের গঙ্গানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক জয়ী বিজেপি সদস্যা তৃণমূলে যোগ দিলেন।
বনগাঁ ব্লকের গঙ্গানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ৩০ টি। এরমধ্যে তৃণমূল একাই জয়ী হয়েছে ২১ টি আসনে। বাকি আসনের মধ্যে বিজেপি ৬ টি, সিপিএম ২ টি এবং নির্দল ১ টি আসনে জয়ী হয়েছে। এখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল।
গঙ্গানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির যে ৬ জন প্রার্থী গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে জয়ী হয়েছেন, তারমধ্যে পাঁচবেড়িয়া গ্রামের আসন থেকে জয়ী হয়েছেন দীপা রায়। তিনিই বুধবার রাতে তৃণমূলের বনগাঁ জেলা কার্যালয়ে এসে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন।
এদিন তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করালেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতানেত্রীরা। মমতা ব্যানার্জীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন বলে জানালেন তৃণমূলে যোগদানকারী ওই সদস্যা।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, মমতা ব্যানার্জীর হাত শক্ত করতে তৃণমূলে যোগদান করে এলাকার মানুষের উন্নয়নের কাজ করতে চান দীপা রায়। তাই তিনি বিজেপি ছাড়লেন। তার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকায় তাকে দলে নেওয়া হল।
: এই সংক্রান্ত ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :
যদিও এই যোগদানের কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, এক্ষেত্রেও ভয় দেখিয়ে দীপা রায়কে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এই পঞ্চাযেতে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেবে বোর্ড গঠন করার ক্ষেত্রে তৃণমূলের কোনও বাধা নেই। তারপরেও বিজেপির এক জয়ী সদস্যা তৃণমূলে যোগদানের পেছনে কি রহস্য রয়েছে ? জিজ্ঞাস্য রাজনৈতিক মহলের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন