Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

বনগাঁয় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

 ‌

The-hanging-body-of-the-housewife-was-recovered

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌ঘরের ভেতর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বনগাঁ থানার শিমুলতলা এলাকায়। মৃত বধূর বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাস পাঁচেক আগে বনগাঁর শিমুলতলা এলাকার যুবক দেবব্রত বণিক ওরফে ভোলার সঙ্গে বিয়ে হয় বনগাঁরই গোবরাপুর এলাকার যুবতী পিয়ালী সাঁধুর। পিয়ালীর বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পিয়ালীর উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করত তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

রবিবার সকালে পিয়ালীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় যে, পিয়ালী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা যেন এখুনি চলে আসেন। এই খবর পেয়ে বাপের বাড়ির লোকেরা শিমুলতলা এলাকায় আসতেই জানতে পারেন যে, পিয়ালী মারা গেছেন।

বাড়ির ভেতরে ঢোকার পর তারা দেখতে পারেন যে, খাওয়ার টেবিলের পাশেই হাঁটু মোড়া অবস্থায় পিয়ালীর দেহ ঝুলছে। ঘটনার খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ এসে পিয়ালীর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পিয়ালীর বাপের বাড়ির লোকেদের বক্তব্য, আগের রাতেও পিয়ালীর সঙ্গে তাদের ফোনে কথা হয়েছে। আজ সকালে পিয়ালীর দাদার পিয়ালীর শ্বশুরবাড়িতে আসার কথা ছিল। তারমধ্যেই এমন ঘটনা। তাদের অভিযোগ, পিয়ালীকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পিয়ালীর বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পিয়ালীর স্বামী দেবব্রত বণিককে গ্রেপ্তার করেছে। কিভাবে পিয়ালীর মৃত্যু হয়েছে, ময়না তদন্তের পর তা সঠিকভাবে জানা যাবে। আর সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ করবে। পিয়ালীর এই অকাল মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের ফাঁসির দাবি করেছেন পিয়ালীর বাপের বাড়ির লোকেরা।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন