Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩

বাগদায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় পুনঃনির্বাচন

Re-election-under-tight-security

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌ঠিক এমনটাই চেয়েছিলেন গ্রামের সাধারণ ভোটাররা। ৮ জুলাই শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশের কয়েকজন কর্মীর উপস্থিতি ভোটদান পর্ব চলাকালীন ব্যাপক গোলমাল বাঁধে উত্তর ২৪ পরগনা বাগদার নওদাপাড়ার ৭২ নম্বর বুথে।  আর সেই কারণে বন্ধ হয়ে যায় ভোটদান পর্ব।

আজ সোমবার সেই বুথেই পুনঃনির্বাচন শুরু হয়েছে। তবে এবারে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। যার কারণে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। স্বাভাবিকভাবেই খুশি গ্রামের সাধারণ ভোটাররা। তারা চান, গোটা ভোট পর্ব যেন এভাবেই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনের দিন তৃণমূলের সঙ্গে নির্দল এবং সিপিএম কর্মীদের সংঘর্ষের ফলে বন্ধ হয়ে যায় ভোট গ্রহণ। এই ঘটনায় ১৫ জন আহত হন। সেই কেন্দ্রেই সোমবার পুনঃনির্বাচন হচ্ছে। এদিন সকাল থেকেই লম্বা লাইন পড়ে ভোটকেন্দ্রের সামনে। এই কেন্দ্রে ৬৭০ জন ভোটার রয়েছেন। 

কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সম্পূর্ণ ভোটকেন্দ্র। পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশ মোতায়েন থাকায় গ্রামবাসীরা আশাবাদী গতদিনের ঘটনার পর শান্তিপূর্ণভাবেই আজকের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে এবং তারা যথেষ্ট সাহস পাচ্ছেন। 

এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানালেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা উপস্থিত থাকায় আজ শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হচ্ছে। সারাদিন এইভাবেই যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়, সেই আশা করেছেন সাধারণ ভোটাররা।


: ‌এই সংক্রান্ত ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :

এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন মন্ডল বলেন, নির্দল প্রার্থীরা ভোটের দিন পরিকল্পিত হবেই গোলমাল বাধিয়েছিল। তৃণমূলের পক্ষে ভোট ভালো পড়ায় তারা আগে থেকেই গোলমাল পাকানোর জন্য তৈরি ছিল। শেষ পর্যন্ত তারা গোলমাল করে ভোট গ্রহণ পর্ব বন্ধ করে দেয়।

এই বিষয়ে নির্দল প্রার্থী আনারুল দফাদার অবশ্য বলেন,  গ্রামের ভোটাররা আগের থেকেই এইভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ।আগের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলে ওই গন্ডগোল হতো না। আজ কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হচ্ছে।

এদিন নওদাপাড়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ওই বুথে গিয়ে দেখা গেল, বুথের অনেক আগে থেকেই রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রীতিমত চেক করে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন