সমকালীন প্রতিবেদন : ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তৎপরতায় ২০১৬ সালের পর থেকে স্থলপথে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে। পাশাপাশি সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারিতে সুরক্ষিত রয়েছেন সীমান্ত অঞ্চল তথা গোটা ভারতের মানুষ। মঙ্গলবার এভাবেই ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি এবং বিএসএফ কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির উদ্যোগে এদিন পেট্রাপোল সীমান্তে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এই কর্মসূচিতেই উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র এবং বিএসএফের মহা নির্দেশক সুজয়লাল ।
এদিন দুপুরে কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে করে বনগাঁর কালিয়ানি সীমান্তে এসে পৌঁছান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে সড়কপথে যশোর রোডের ধারে পেট্রাপোল থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি। এর পরেই হাজির হন পেট্রাপোলের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে।
স্থলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্বিতীয় কার্গো গেট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ দিন তারই শিলান্যাস করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নাম দেওয়া হয়েছে মৈত্রী দ্বার। পেট্রাপোল স্থলবন্দর এলাকা কিভাবে আরো সুসজ্জিত করা হবে, তা মডেলের মাধ্যমে এদিন উপস্থাপন করা হয়। সেই গ্যালারি ঘুরে দেখেন অমিত শাহ।
এরপর মূল অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হন তিনি। সেখানে তাঁকে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি এবং বিএসএফের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পুরুলিয়ার ছৌ নাচ এবং অন্যান্য নৃত্য প্রদর্শিত হয়। পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বানিজ্যে কি ধরনের উন্নয়ন ঘটেছে, তার পাশাপাশি দেশের কোন কোন সীমান্তে নতুন করে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, তা তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ ট্রাক পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে যায়। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যাতায়াতের সুবিধার জন্য নতুন একটি কার্গো গেট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে আগামী দিনে বাণিজ্যের সুবিধা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সীমান্তের শুন্য পয়েন্ট থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিএসএফের নজরদারির এলাকা বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানান শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তের যে ৭২ টি জায়গায় এখনো কাঁটাতার দেওয়া সম্ভব হয়নি, সেইসব জায়গায় যাতে জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়, তার জন্য যেন রাজ্য সরকার সহযোগিতা করে।
অনুষ্ঠান শেষে এদিন অতিথিদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন অমিত শাহ। তারপর ফের সড়কপথে কালিয়ানী হেলিপ্যাড এবং সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে কলকাতায় পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন