সমকালীন প্রতিবেদন : এ যেন এক স্বপ্নপূরণের গল্প। ভারতের নাগরিক হিসেবে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছেতেই অবশেষে মিললো সাফল্য। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোতে কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেলেন বনগাঁর দীনবন্ধুনগরের যুবক বিশ্বনাথ দাস।
বিশ্বনাথের বাবার সামান্য রোজগার। তার মধ্যে দিয়েই ছেলেকে উচ্চ শিক্ষিত করার চেষ্টা করে গেছেন। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বি.টেক পাশ করার পর থেকেই নানা চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছিলেন বিশ্বনাথ। কিন্তু কিছুতেই সাফল্য মিলছিল না।
একটা সময় তাঁর ইচ্ছে ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের জন্য কিছু করার। কিন্তু সেখানে বাধ সাধে শারীরিক সক্ষমতা। তাই সেই আশা ছেড়ে দিয়ে নিজের পড়াশোনা এবং পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে কিছু করার চেষ্টা চালিয়ে যান তিনি।
আর এভাবেই তিনবারের চেষ্টায় ইসরোর ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে টেকনিক্যাল অ্যাসিন্ট্যান্ট পদে মনোনিত হন বিশ্বনাথ। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার নানা স্তর পেরিয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিলেন তিনি।
গত দু বছর ধরে এই পরীক্ষা নিয়ে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিশ্বনাথ। এই চাকরির পরীক্ষায় বসার জন্য আলাদা করে কোনও টিউটরের কাছে যান নি তিনি। নিজের বিভিন্ন বই এবং ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন বলে জানালেন।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্বনাথ বিশ্বাস করেন, পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই। তাঁর আক্ষেপ, বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের একটা বড় অংশ মোবাইলের নেশায় আশক্ত হয়ে পরছে। এটার পরিবর্তন দরকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন