Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩

দেশের অনুপ্রেরণা ২৩ বছরের আইএএস অফিসার সৌম্যা

23-years-of-IAS

সম্পদ দে : গোটা দেশ জুড়ে এখন সৌম্যা পান্ডেকে নিয়েই আলোচনা। আর, হবে নাই বা কেন? মাত্র ২৩ বছর বয়সে একজন আইএএস অফিসার হয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন এলাহাবাদের এই যুবতী। তার সাফল্য বর্তমানে গোটা দেশ জুড়েই অনেক পড়ুয়াদেরকে অনুপ্রাণিত করছে এবং নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং উৎসর্গের গুরুত্বকে তুলে ধরছে।

সর্বভারতীয় পরীক্ষা ইউপিএসসি কে ভারতের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। লক্ষ লক্ষ প্রার্থীর জন্য মাত্র কয়েক হাজার আসন উপলব্ধ থাকে। যেখানে বহুবার পরীক্ষা দেওয়ার পরেও অনেকের স্বপ্নপূরণ হয় না। 

আর সেখানে দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষায় সৌম্যার তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং অটল মানসিকতা তাঁকে তাঁর প্রথম প্রচেষ্টাতেই পাস করতে সাহায্য করেছে। সৌম্যার সাফল্যের গল্প অনেক তরুণ ছাত্রছাত্রীকে অনুপ্রাণিত করছে আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখার জন্য।  

সৌম্যা সবসময় একজন আইএএস অফিসার হতে চেয়েছিলেন। স্নাতকের শেষ বছরে তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করার জন্য খরচ করতেন সৌম্যা। পরীক্ষা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পড়াশোনার সময়ও বাড়তে থাকতো।

ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সৌম্যা এনসিইআরটি বইয়ের গুরুত্ব এবং অনুশীলনের জন্য মক টেস্ট নেওয়ার উপর জোর দিয়েছিলেন। তাঁর উৎসর্গতা এবং কঠোর পরিশ্রমই প্রতিফলিত হয়েছে ফলাফলে। শেষ পর্যন্ত তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত আসনগুলির মধ্যে একটি জয় করতে সক্ষম হয়েছেন।

বর্তমানে সৌম্যা কানপুরে দেহাত-এ 'চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার' বা সিডিও পদে রয়েছেন। তাঁর সাফল্য এলাহাবাদের নাগরিকদের জন্য প্রচুর আনন্দ বয়ে নিয়ে এসেছে। তাঁর পরিবারের লোক থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা, বন্ধু-বান্ধব সকলেই এই কৃতিত্বের জন্য গর্বিত।

সৌম্যার গল্পটি এরই প্রমাণ যে নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় ইচ্ছার সঙ্গে যে কেউ তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন, তা যত বড় বা ছোট হোক না কেন। তাঁর সাফল্য অনেক তরুণ ছাত্রছাত্রীকে কঠোর পরিশ্রম করতে এবং তাঁদের স্বপ্নকে অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।

সৌম্যার অ্যাকাডেমিক কৃতিত্বের পাশাপাশি, তিনি সেইসমস্ত যুবতী মহিলাদের জন্যও একটি অনুপ্রেরণা, যারা পুরুষশাসিত ক্ষেত্রগুলিতে একটি বদল আনতে চান। তাঁর সাফল্য নারীর ক্ষমতায়নের গুরুত্বকেও তুলে ধরে এবং তাঁদের সফল হওয়ার সমান সুযোগ করে দেয়।

সৌম্যার কৃতিত্ব সারা দেশে এক শিরোনাম তৈরি করেছে। এখন তিনি অনেক তরুণ ছাত্রছাত্রীর জন্য আদর্শ। তাঁর সাফল্যের গল্প একটি স্মারকলিপি যে, কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে যে কেউ তাদের কঠিন থেকে কঠিনতম স্বপ্নগুলি অর্জন করতে পারেন, তা যত বড় বা ছোট হোক না কেন।








‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন