Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩

শান্তনু ঠাকুর ‌তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, দাবি জয়প্রকাশের

 

Shantanu-Thakur-can-join-Trinamool

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌সিএএ লাগু না করতে পারলে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে তৃণমূলে যোগদান করে মুখ রক্ষা করতে হবে। আর তাই তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা টাউনহলে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের একটি কর্মসূচিতে যোগদান করে এমনই বিষ্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।

একসময় বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতা ছিলেন জয়প্রকাশ। আর সেই সূত্রে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর। দলের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় একসময় তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন।

তৃণমূল ছাড়ার আগের মুহূর্তে তিনি বেশ কয়েকবার ঠাকুরনগরে শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে এসেছিলেন। বৈঠক করেছিলেন। আর তাই নিয়ে সেইসময় রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জনও তৈরি হয়। আর সেই শান্তনুর সঙ্গে এখনও নিয়মিত তাঁর যোগাযোগ আছে বলে এদিন দাবি করেন জয়প্রকাশ।

এদিন তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়প্রকাশ বলেন, দিন দশেক আগেই নাকি শান্তনু ঠাকুর তাঁকে ফোন করেছিলেন। সিএএ লাগু করা নিয়ে শান্তনু তাঁর কাছে সংশয় প্রকাশ করেন। ১৮ মাস ধরে নাকি সিএএ নিয়ে কোনও বৈঠকই করে নি কেন্দ্র সরকার।

এই প্রসঙ্গে পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'বিজেপির অনেকেই বিপদ বুঝে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। জায়গা রাখছেন। সিএএ লাগু না হলে শান্তনু ঠাকুরের সমুহ বিপদ। মতুয়া সমাজে মুখ দেখাতে পারবেন না। আর তখন তিনি মতুয়াদের কাছে মুখ রক্ষা করতে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হবেন। এই কারণে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।'‌ 

জয়প্রকাশ মজুমদারের এদিনের এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জয়প্রকাশের এদিনের দাবি অনুযায়ী শান্তনু ঠাকুর কী সত্যিই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ? ‌এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে চান রাজনৈতিক সচেতন মানুষেরা। যদিও এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত শান্তনু ঠাকুরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন