Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩

চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ বাগদার যুব নেতার বিরুদ্ধে

 

Cheating-in-the-name-of-job

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌‌মোটা টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠলো উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা এলাকার এক বাম যুব নেতার বিরুদ্ধে। ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বাগদারই এক যুবক। অভিযুক্তের নাম সজল ভদ্র। তিনি গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের বাগদা স্থানীয় কমিটির সদস্য।  

দিন কয়েক আগে বাগদার রামনগর এলাকার বাসিন্দা তন্ময় বিশ্বাস নামে এক যুবক সজল ভদ্রের বিরুদ্ধে বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই যুবকের অভিযোগ, মাস দেড়েক আগে সজল ভদ্র তাকে ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়াতে চতুর্থ শ্রেণীর পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। 

ওই যুবকের দাবি অনুযায়ী, এই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য তার কাছে ৯ লক্ষ টাকা দাবি করে সজল। নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পরে টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। দিন কয়েক আগে তন্ময়ের বাড়িতে একটি নিয়োগপত্র আসে, যেখানে তাকে এফসিআইতে চতুর্থ শ্রেণীর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। 

ওই যুবকের দাবি, পুরনো চুক্তি অনুযায়ী তিনি এরপর সজলকে বাগদার কৃষি মান্ডির ভেতরে গিয়ে নগদ ৯ লক্ষ টাকা দেন। কিন্তু ওই নিয়োগপত্রটি যাচাই করে ওই যুবক জানতে পারেন, নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। এরপর থেকে তিনি সজলের সঙ্গে যোগাযোগ করেও টাকা ফেরত পান নি। এমনকি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত আসল নথি সজলের কাছে গচ্ছিত রয়েছে বলেও দাবি করেছেন ওই যুবক। 

যদিও গোটা অভিযোগ অস্বীকার করে সজল ভদ্রের পাল্টা দাবি, গত ১ মার্চ তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। আর সেই ঘটনায় বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী গোপা রায় যুক্ত বলে অভিযোগ তুলেছেন সজল। তার দাবি, সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে। এই অভিযোগ অবাস্তব।

এদিকে, এব্যাপারে গোপা রায়ের পাল্টা অভিযোগ, সজল ভদ্রের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। আর সেটাকে কাজে লাগিয়ে সে নানা অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। অনেকদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে আসছিল। তার এই অন্যায় কাজে সহযোগিতা না করায় তাঁর বিরুদ্ধে সজল মিথ্যা অপহরণের অভিযোগ এনেছে বলে দাবি গোপা রায়ের। 

বাগদায় বাম এবং ডানপন্থী দুই নেতা–নেত্রীর একে অপরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলায় এবং তা পুলিশ পর্যন্ত পৌঁছানোয় বাগদা এলাকায় তা আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাগদার রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, গোপা রায় তৃণমূলের নেত্রী, আর সজল ভদ্র বামপন্থী দলের যুব নেতা। এই দুই বিপরীত রাজনৈতিক দলের দুই নেতা–নেত্রীর মধ্যে এতোটা ব্যক্তিগত সম্পর্কের পেছনে কী অন্য কোনও কারণ আছে ? প্রশ্ন তুলছে বাগদার রাজনৈতিক মহল।







                             

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন