Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

পেট্রাপোল সীমান্তে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান যান্ত্রিকতায় ভরা

 

Language-Day-at-the-Border

সমকালীন প্রতিবেদন : বাংলা ভাষার মর্যাদার দাবিতে একসময় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল রফিক, সালাম, বরকতের মতো ভাষাপ্রেমী যুবকদের বুক। অবশেষে তাঁদের সেই লড়াই সার্থক হয়। বাংলা ভাষা আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা হিসেবে বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পায়। 

আর সেই লড়াইয়ে সামিল ভাষা শহিদদের স্মরণে দুই বাংলা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যেখানে যেখানে বাংলা ভাষাভাষি মানুষ রয়েছেন, তাঁরাই আজ অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারির দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণ করেন।

২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের সমস্ত বাংলাভাষীদের কাছে একটি আবেগের নাম। বাংলাদেশে বিশেষভাবে এই দিনটিকে উজ্জাপন করা হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পেট্রাপোল–বেনাপোল সীমান্তে এই দিনটিকে দুই বাংলার মানুষ যৌথভাবে পালন করে আসছেন। এবছরও তার অন্যথা হল না।

তবে কোথায় যেন একটি খামতি রয়েই গেল। ২১ মানে যেখানে শুধুই আবেগ, যে আবেগের টানে দূরদূরান্ত থেকে এই দিনটিতে সীমান্তে ছুটে আসেন বহু ভাষাপ্রেমী মানুষ, সেই আবেগ যেন দিন দিন ম্লান হয়ে যাচ্ছে যান্ত্রিকতার কাছে। আর সেখানেই আক্ষেপ তৈরি হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে এই বিশেষ দিনটিতে সীমান্তে ছুটে আসা ভাষাপ্রেমীদের মনে।

যেমন হচ্ছে বনগাঁর প্রাক্তন শিক্ষক দেবাশীষ রায়চৌধুরীর মনে। দীর্ঘ কয়েক বছর তিনি এই বিশেষ দিনে হাজির থাকেন পেট্রাপোল–বেনাপোল সীমান্তে। তাঁর উপলব্ধি, ভাষা দিবস মানে আবেগ। আর সেই আবেগের টানে আগে তাঁরা অনায়াসেই মিলিত হতে পারতেন ওপার বাংলার বাংলাভাষীদের সঙ্গে। কিন্তু দিন বদলেছে, বদলেছে পরিস্থিতিরও।

প্রতিবারের মতো এবারেও পেট্রাপোল–বেনাপোল সীমান্তের নোম্যানস ল্যান্ডে অস্থায়ী শহিদবেদী তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে হাজির হন আজকের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা তথা দুই বাংলার প্রতিনিধিরা, যার মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কর্তারা। তাঁরা যৌথভাবে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানান।

বাংলাদেশের সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে আজকের এই দিনটি একটু বেশিমাত্রায় আবেগের। আর সেই আবেগের টানে ২১ এর সকালে সীমান্তে হাজির হয়ে যান তাঁদের অনেকে। তাঁদের সঙ্গে থাকে ফুল, মিষ্টি। তা আদান–প্রদান হয় দুই বাংলার মানুষের মধ্যে। এমন দিনে সীমান্তের এই অনুষ্ঠানে হাজির হতে পেরে আপ্লুত তাঁরা।

শহীদবেদীতে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রতিবারের মতো পেট্রাপোল সীমান্তে বনগাঁ পুরসভা, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতি, ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভারত–বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

সেই অনুষ্ঠানমঞ্চে বিশিষ্টজনদের উপস্থিতি দেখে আর পাঁচটি রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক অনুষ্ঠানের থেকে তাকে খুব একটা আলাদা করতে পারলেন না ভাষার টানে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষেরা। 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন