সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁয় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। এব্যাপারে বধূর বাপেরবাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বধূর স্বামী এবং শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, প্রায় ১৬ বছর আগে বনগাঁর শক্তিগড়ের বাসিন্দা শম্পা ঘোষ সাহার সঙ্গে বিয়ে হয় বনগাঁর মতিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সুদীপ্ত সাহার। বর্তমানে তাদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিত হচ্ছিলেন শম্পা।
শম্পা ঘোষ সাহার মা লক্ষ্মী ঘোষের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য মেয়ের উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাতো তার স্বামী এবং শাশুড়ি। তার সঙ্গে যোগ দিত দেওরও। এই অত্যাচারের কথা মেয়ে প্রায়ই বাপেরবাড়িতে এসে বলতেন শম্পা।
লক্ষ্মী ঘোষের আরও অভিযোগ, কয়েক বছর আগে মেয়েকে টাকার জন্য চাপ দেওয়ায় একটি বাড়ি বিক্রি করে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দেন। কিন্তু তারপরেও মেয়ের উপর অত্যাচার বন্ধ হয় নি।
এর পাশাপাশি শম্পার বাপেরবাড়ির লোকেদের অভিযোগ, শম্পার স্বামীর সঙ্গে অন্য মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকায় তার প্রতিবাদ করে শম্পা। আর তার কারণেও শম্পাকে অত্যাচারের শিকার হতে হয়।
শুক্রবার সকালে শম্পার বাপেরবাড়িতে ফোন করে বলা হয়, শম্পা আত্মহত্যা করেছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাপেরবাড়ির লোকেরা শম্পার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, বিছানার উপর নিথরভাবে পরে রয়েছেন শম্পা।
ওই অবস্থায় শম্পাকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শম্পা আত্মহত্যা করেছেন– এইমর্মে শম্পার স্বামী, শাশুড়ি এবং দেওরের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শম্পার মা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন