সমকালীন প্রতিবেদন : বাজারে এই মুহূর্তে আলুর যোগান যথেষ্ট রয়েছে। দামও আগের তেকে কিছুটা কমেছে। তবে তারই মধ্যে কোথাও কোথাও 'হেমাঙ্গিনী' আলুকে 'চন্দ্রমুখী' আলু বলে বিক্রি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠলো। আর তাই আলু কেনার সময় ক্রেতাদের সতর্ক এবং সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি আধিকারিকেরা।
'জ্যোতি' এবং 'চন্দ্রমুখী' নামের দুই প্রজাতির আলুই বাজারে বেশি বিক্রি হয়। সঙ্গে চলে 'হেমাঙ্গিনী' আলুও। অন্যান্য আলুর থেকে চন্দ্রমুখী আলুর দাম কিছুটা বেশি। যদিও চন্দ্রমুখীর সঙ্গে দেখতে মিল রয়েছে ‘হেমাঙ্গিনী’ আলুর। অবশ্য স্বাদ সম্পূর্ণ আলাদা। আর সেই কারণে দামেও ফারাক রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, বেশি লাভের জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা চুটিয়ে চন্দ্রমুখী আলুর নামে বিক্রি করছে হেমাঙ্গিনী আলু। তবে অনেক বাজারেই অল্প দামে হেমাঙ্গিনী আলু বিক্রি হচ্ছে। হেমাঙ্গিনী আলু আসলে মিশ্র প্রজাতির আলু। এটির চাষ করা হয় পঞ্জাব এবং জলন্ধরের বিভিন্ন অংশে।
এই আলু তৈরি হতে যেমন সময় কম লাগে, তেমনই ফলনও হয় বেশী। যে পরিমান জমিতে ৫০ থেকে ৬০ বস্তা চন্দ্রমুখী আলুর উৎপাদন হয়, সেই পরিমান জমিতেই ৯০ থেকে ৯৫ বস্তা হেমাঙ্গিনী আলু পাওয়া যায়। ফলে উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়।
শহরাঞ্চলের মানুষেরা বাইরে থেকে দেখে হেমাঙ্গিনী আলু এবং চন্দ্রমুখী আলু দুটোর মধ্যে ফারাক সহজে খুঁজে পান না। চন্দ্রমুখী আলুর সঙ্গে জ্যোতি আলুর ক্রস ব্রিড করে তৈরি করা হয়েছে হেমাঙ্গিনী আলু। যেহেতু এই আলু হাইব্রিড, তাই অল্প সময়ে এবং কম খরচে এই আলু চাষ করা যায়।
ভিন রাজ্যের পাশাপাশি এই রাজ্যের হুগলি জেলার পুরশুড়া এবং তারকেশ্বর অঞ্চলে এই আলুর চাষ হয়। চন্দ্রমুখী আলুর ফলন পেতে যেখানে তিন থেকে চার মাস সময় লাগে, সেখানে এই হাইব্রিড আলুর ফলন দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যেই পাওয়া যায়। আর সেই কারণেই কৃষকদের অনেকেই এই আলু চাষের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন