Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

বাগদার চন্দন মন্ডলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন গ্রামবাসীরা

 

সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে যাতায়াত ছিল প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। আর তারা চন্দন মন্ডলের বাড়িতে যেতেন। এই গ্রামে যে কালীপুজো হতো, সেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হতো। সেখানে কলকাতা থেকে আসতেন অনেক নামী লোকেরা। এমনই বিষ্ফোরক অভিযোগ মামাভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা থেকে শুরু করে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের।

মামাভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মন্ডল ওরফে 'সৎ রঞ্জন' গ্রেপ্তার হওয়ার পর‌ মুখ খুলতে শুরু করলেন তার এলাকার মানুষেরা। চাকরিপ্রার্থী মামাভাগিনা গ্রামের একটি পরিবারের সদস্য প্রকাশ্যেই অভিযোগ করলেন, তাদের পরিবারের ৫ জনের চাকরির জন্য চন্দন মন্ডলকে ৪৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল।

জমি বিক্রি করে এই টাকা তারা চন্দন মন্ডলকে দিয়েছিলেন। এই টাকার বিনিময়ে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং গ্রুপ ডি তে মোট ৫ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। 

মাস দুয়েক আগে দুজনের চাকরি হলেও দিন কয়েক আগে তাদের চাকরি চলে গেছে। বাকিদের কোনও চাকরিই হয় নি। টাকাও ফেরত পান  নি তারা। এমনই অভিযোগ প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীদের পরিবারের সদস্যের।

বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের মামাভাগিনা গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য অনুপ ঘোষ দাবি করেন, মমতা ব্যানার্জীর বাড়িতে যে ভিড় না হয়, তার থেকে বেশি ভিড় হতো চন্দন মন্ডলের বাড়িতে। তাঁর অভিযোগ, এলাকার শিক্ষিত, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের টাকা নেই বলে চাকরি হয় নি। 

অথচ চন্দনের হাতযশে অষ্টম শ্রেণী পাশ অযোগ্যরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছে শুধু টাকার জোরে। এলাকায় এমন চাকরি পাওয়াদের সংখ্যা অনেক। তাদের সবার চাকরি চলে যাওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। 

'সৎ রঞ্জন' এর কীর্তিকলাপের কথা দীর্ঘদিন ধরেই জানতেন এলাকার বহু সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্তারাও। কিন্তু এতোদিন সেব্যাপারে টুশব্দ করেন নি কেউই। 

এখন চন্দন মন্ডল গ্রেপ্তার হওয়ায় অনেক কিছুই প্রকাশ্যে আসছে। সাহস করে মুখ খুলতে শুরু করেছেন কেউ কেউ। ইতিমধ্যেই অযোগ্যদের চাকরি চলে যেতে শুরু করায় বাগদায় হাহাকার শুরু হয়েছে। আগামীদিনে এই জল কতদূর গড়ায়, এখন সেটাই দেখার।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন