সমকালীন প্রতিবেদন : দেখতে আপেলের মতো। কিন্তু গন্ধে কমলার মতো। অদ্ভুত শুনতে লাগলেও এমনই ক্রসব্রিড আপেল-কমলা কুল চাষ করে তাক লাগালেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের টুঙ্গইল বিলপাড়ার কৃষক জীতেন বর্মন। আর এই ভিন্নধর্মী ফল চাষের খবরে অবাক অন্যান্য সাধারণ কৃষকেরা।
মরসুমি ফলের তালিকায় কুল অত্যন্ত জনপ্রিয়। টকমিষ্টি স্বাদের এই ফল যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, তেমনই কুলের আচার পছন্দ করেন না, এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। শীতের মরসুম গাছে ফল আসে এবং বসন্তের শুরুতে কুল পেকে উঠে। সরস্বতী পুজোর সময় কুল অত্যাবশ্যকীয় একটি ফল।
বাজারে চাহিদার কথা মাথায় রেখে মূলত কাশ্মীরি আপেল কুল, নারকেল কুল চাষ করেন ভান্ডার পঞ্চায়েতের টুঙ্গইল বিলপাড়ার কৃষক জীতেন বর্মন। আগাগোড়াই তিনি বানিজ্যিকভাবে কুল চাষ করে আসছেন। এর পাশাপাশি নতুন কিছু করার চেষ্টায় ক্রসব্রিড আপেল-কমলা কুলের চারা তৈরি করেন তিনি।
কয়েকবছরের চেষ্টায় অবশেষে সাফল্য মেলে তার। এবছর তিনি সেই ক্রসব্রিড আপেল-কমলা কুলের সঠিক ফলন পেয়েছেন। এব্যাপারে জীতেন বর্মন বলেন, যাদের অল্প জমি বা চাষের অযোগ্য জমি আছে, তারা নার্সারি থেকে চারাগাছ সংগ্রহ করে এই কুল চাষে যুক্ত হলে নিশ্চিতভাবেই লাভবান হবেন।
বেশ কয়েকবছর আগে প্রথাগত চাষআবাদ থেকে সরে এসে নিজের এগারো কাঠা জমিতে কুল চাষ শুরু করেন জীতেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। কাশ্মীরি আপেল কুল, নারকেল কুলের পাশাপাশি নিজস্ব আপেল-কমলা ক্রসবিড মিলিয়ে এবছর ১৩ কাঠা জমিতে চার প্রজাতির কুল চাষ করেছেন।
কলম পদ্ধতির কুলের চারাগাছে মাত্র একবছর বয়সে ফলন হয়। আপেল কুল, নারকেল কুলের চাহিদা বেশ ভালো এবং বাজারে কুলের দাম ভালোই মেলে। জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ ও সঠিক পরিচর্যা করলে একটি গাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ কেজি কুল পাওয়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন