সমকালীন প্রতিবেদন : দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ রেশন কার্ডের গ্রুপে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। শুধু তিনি নন, তাঁর নিকট আত্মীয়দের আরও ৩ জন এই গ্রুপের কার্ড হোল্ডার। প্রকাশ্য পথসভায় এই তথ্য তুলে ধরে নতুনভাবে বিতর্ক তৈরি করলেন সিপিএমের রাজ্য নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য।
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লক অফিসের সামনে সিপিএমের একটি পথসভা এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য একটি রেশন কার্ডের নম্বর উল্লেখ করে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।
তন্ময়বাবু এদিন যে নম্বরটির কথা উল্লেখ করেন, সেই নম্বরটি হল— ০৫৪৫১৬০০৭৪। তিনি বলেন, এই রেশন কার্ডটি পিএইচএইচ অর্থাৎ প্রায়রিটি হাউস হোল্ড গ্রুপের। মূলত যারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা মানুষ রয়েছেন, তাদের জন্য এই রেশন কার্ড বরাদ্দ হয়।
তন্ময়বাবু আরও উল্লেখ করেন, এই রেশন কার্ড হোল্ডারের নাম শান্তনু ঠাকুর। যিনি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা কেন্দ্রের মন্ত্রী। তন্ময়বাবুর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পরে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্র সরকারের একজন মন্ত্রী হয়েও কিভাবে দরিদ্র মানুষদের জন্য বরাদ্দ রেশন কার্ডের হোল্ডার হলেন তিনি।
এলাকার রেশন ডিলার জয়ন্ত মৃধা জানিয়েছেন, শান্তনু ঠাকুরের পাশাপাশি, তাঁর বাবা, মা এবং আরও একজন আত্মীয় এই গ্রুপের কার্ড হোল্ডার। এই কার্ডে কেন্দ্র সরকারের বরাদ্দ রেশন সামগ্রী পাওয়া যায়। শেষ মাসেও এই কার্ডে রেশন তোলা হয়েছে।
এই ঘটনার নিন্দা করে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূল নেতা গোবিন্দ দাস জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে দরিদ্র মানুষের গ্রুপের রেশন কার্ড হোল্ডার হওয়া অত্যন্ত লজ্জাজনক। তাঁর উচিৎ অবিলম্বে এই কার্ড স্যারেন্ডার করা।
যদিও এই ঘটনার জন্য রাজ্যের খাদ্য দপ্তরকে দায়ী করে শান্তনু ঠাকুরের পাল্টা বক্তব্য, তিনি কখনও রেশন তোলেন না। ফলে তাঁর নামে কি ধরনের রেশন কার্ড আছে, তা তিনি জানেন না। তবে তাঁর মা রেশন তোলেন।
তাঁর নামে এই ধরনের কার্ড ইস্যু হওয়ার পেছনে চক্রান্ত রয়েছে এবং এব্যাপারে তদন্তের দাবি করেছেন শান্তনু ঠাকুর। পাশাপাশি, তিনি তাঁর কার্ড স্যারেন্ডার করবেন বলে জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন