সমকালীন প্রতিবেদন : ছোটবেলা থেকেই পাহাড়ের প্রতি টান ছিল তাঁর। আর সেই পাহাড়ই শেষপর্যন্ত অসময়ে কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। সহপাঠীদের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে আচমকাই মৃত্যু হল ডাক্তারি পড়ুয়া বছর ২২ এর সায়ন মন্ডলের।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা থানার কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নবপল্লী এলাকার বাসিন্দা সায়ন মন্ডল কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের চতুর্থবর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া। আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়েই তাঁর পরিবার তাঁকে ডাক্তারি পড়াচ্ছিলেন।
তাঁর পরিজনেরা জানালেন, পাহাড়ে ঘুড়তে ভালো বাসতেন সায়ন। মাসখানের আগে সিকিম ঘুড়ে এসেছিলেন। দিন কয়েক আগে পরিবার এবং এলাকার বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। তারজন্য টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল।
শেষপর্যন্ত সেই ট্যুর বাতিল হওয়ায় পাহাড়ের টানে এরপর গত ১২ জানুয়ারি ডাক্তারি পড়ুয়া তিন সহপাঠীর সঙ্গে হরিদ্বার বেড়াতে যান সায়ন। সেখানকার ১২ হাজার ফুট উচ্চতার ব্রহ্মনাথ পাহাড়ে ট্রেকিং করতে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় পড়েন তিনি।
সহযাত্রীদের সহযোগিতায় পাহাড় থেকে তাঁকে নিচে নামিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয় নি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ১৯ জানুয়ারি ফোন করে হাবড়ায় তাঁর পরিবারকে এই মর্মান্তিক খবরটি জানান তারই সহযাত্রীরা।
সায়নের এক আত্মীয় জানান, সায়নের বাবার ইচ্ছে ছিল, সায়নের মৃতদেহ চিকিৎসা শাস্ত্রে কাজে লাগানোর জন্য তাঁর দেহ দান করার। এব্যাপারে আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, যেহেতু সায়নের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, তাই তাঁর দেহ গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
সায়নের এই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পেয়ে এদিন তাঁর বাড়িতে যান হাবড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি সায়নের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন