সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার ঐতিহ্যের বানীপুর লোস উৎসবের সূচনা হল শনিবার। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, হাবড়ার পুরপ্রধান নারায়ন সাহা সহ অন্যান্যরা।
রাজ্যের একসময়কার মুখ্যমন্ত্রী ডা: বিধানচন্দ্র রায় এবং মহাত্মা গান্ধী হাবড়ার বানীপুরকে শান্তিনিকেতনের আদলে তৈরি করতে চেয়েছিলেন। এই অঞ্চলে বিভিন্ন স্তরের এতো পরিমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা এশিয়া মহাদেশের আর কোনও ব্লকে নেই।
এবারে এই মেলা ৬৮ তম বর্ষে পা দিল। করোনার কারণে গত দুবছর এই মেলা আয়োজন করা সম্ভব হয় নি। আগামী বছর আরও বড় আকারে এই মেলা আয়োজন করা হবে বলে জানালেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বলেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নোবেল পুরষ্কার প্রাপক অমর্ত সেনের সঙ্গে যেধরনের আচরণ করছেন, তা নিন্দনীয়। উপাচার্যের কর্মকান্ডে তাকে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া উচিত বলে মনে করি।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরে রাজ্যে এমন মিথ্যাচারী বিরোধী দলনেতা এর আগে আসে নি। কেন্দ্রের বিজেপিকে সন্তুষ্ট রাখতে সারাক্ষণ মিথ্যা, অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করে বলেন, শুভেন্দুর রাজনৈতিক পরিপক্কতা আসে নি। আর সেই কারণেই শুভেন্দু উল্টোপাল্টা মন্তব্য করছে।
হাবড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, ১৯৫৬ সালে প্রথম এই বানীপুর মেলায় হাজির হয়েছিলেন ডা: বিধানচন্দ্র রায়। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিচারপতি শঙ্করপ্রসাদ মিত্র, বেলা মিত্র, সত্যজিৎ রায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বরা এই মেলায় উপস্থিত হয়েছিলেন।
এদিন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে এই মেলার সূচনা হয়। সাত দিনের এই মেলায় প্রায় ৪০০ টি স্টল বসেছে। এরমধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদেরও স্টল রয়েছে। মেলা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য ৪০ টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন