সমকালীন প্রতিবেদন : হাসপাতালে চিকিৎসারত এক রোগীকে মারধোরের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল এক টেকনিশিয়ানকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁ হাসপাতালে। এব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বনগাঁ থানার জয়পুর এলাকার বাসিন্দা কিশোর হালদার দিন কয়েক আগে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার রাতে তাঁর ছেলে তাঁকে দেখে আসার সময়েও তাঁর শরীরে কোনও আঘাত ছিল না বলে জানান তাঁর ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে বাবাকে দেখতে হাসপাতালে গেলে কিশোর হালদারের ছেলে অভিজিৎ হালদার দেখেন, তাঁর বাবার মুখে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। মুখে রক্ত পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, রাতে বাইরে থেকে এক টেকনিশিয়ান বাবার ইসিজি করতে আসে।
বাবার কিছুটা মানসিক সমস্যা আছে। ওই টেকনিশিয়ানের সঙ্গে বাবার বিতর্ক হয়। সেই সময় হয়তো বাবা ওই টেকনিশিয়ানের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তার পাল্টা হিসেবে সে বাবাকে মারধোর করে বলে জানতে পারেন অভিজিৎ।
এই ঘটনার পর বনগাঁ হাসপাতালের সুপার এবং বনগাঁ থানায় টেকনিশিয়ান উত্তম বনিকের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কিশোর হালদারের পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন