Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২

পুলিশ–বিএসএফের তৎপরতায় বন্ধ গরু পাচার

 

Stop-cattle-smuggling

সমকালীন প্রতিবেদন : সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এবং পুলিশের যৌথ তৎপরতায় সীমান্ত এলাকায় আপাতত বন্ধ রয়েছে গরু পাচার। আর তাতেই স্বস্তি ফিরেছে সীমান্তপাড়ের বাসিন্দাদের। এমনই জানালেন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সীমান্তবর্তী এলাকার গ্রামবাসীরা। কেন্দ্র এবং রাজ্যের এই দুই বাহিনীর কাজের প্রতি তাই তাঁরা বর্তমানে সন্তুষ্ট।

বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্ত থেকে শুরু করে সুন্দরবনের হেমনগর পর্যন্ত প্রায় ১৯২ কিলোমিটার এলাকা ভারত–বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখা স্পর্শ করে গেছে। এই বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে মাত্র ৯২ কিলোমিটার স্থলপথ। বাকি ১০০ কিলোমিটার জলপথ এলাকা এই দুই দেশের সীমানাকে বিভাজিত করেছে।

বসিরহাট মহকুমার টাকি পুরসভার পাশাপাশি স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, বসিরহাট, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ– এই ব্লকগুলি আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখা স্পর্শ করে গেছে। এক সময় এই সীমান্ত এলাকা দিয়ে স্থলপথের পাশাপাশি জলপথেও দেদার গরু পাচার হতো বাংলাদেশ। যার ফলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল স্থানীয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন।

এই মহকুমার সীমান্তলাগোয়া পানিতর, তারালি, ঘোজাডাঙা, সৈয়দপুর, হাকিমপুর, হেমনগর সহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা একসময় ছিল গরু পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্য। 

তাদের দাপটে সেইসময় রাতের ঘুম উবে গিয়েছিল স্থানীয় মানুষদের। জমির ফসল নষ্ট করে, রাস্তার ক্ষতি করে পাচারকারীরা তাদের অসাধু কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।

এই বিভীষিকাময় জীবনযাপনের হাত থেকে নিস্তার পেতে স্থানীয় মানুষরাই বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এরপর রাজ্য এবং কেন্দ্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করেন। আর তারপরেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার এইসব সীমান্ত এলাকায় কড়া পদক্ষেপ শুরু করে। চলে কড়া নজরদারি এবং ধরপাকড়।


আর এই পদক্ষেপের ফলেই আপাতত বন্ধ হয়েছে গরু পাচার। স্বস্তি ফিরেছে এলাকার মানুষদের জীবনে। এমনই জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, আগের থেকে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো হয়েছে। বিএসএফ এবং পুলিশের তৎপরতায় গরু পাচার বন্ধ হওয়ায় অনেক নিশ্চিন্ত হওয়া গেছে।

একসময় গরু পাচারকারীদের হাত ধরেই বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা ভারতীয় ভুখন্ডে ঢুকে পরে সীমান্ত এলাকার মানুষদের উপর নানাভাবে অত্যাচার চালাতো। রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে পালাতো। এখন গরু পাচার বন্ধ হবার পাশাপাশি সেই অত্যাচারও বন্ধ হয়েছে।








 ‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন