সমকালীন প্রতিবেদন : শুধু পুজোর ৪ টি দিন নয়, এখানে মাদুর্গা পূজিত হন নিত্যদিন। একাদশী সহ বিশেষ কিছুদিন বাদে প্রতিদিন অন্নভোগ নিবেদন করা হয় মাকে। গোটা মাস ধরে ৪৩ জন ভক্ত এই পুজোর খরচ জোগান। এছাড়া, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মানুষ মনস্কামনা পূরণের উদ্দেশ্যে এখানে ভোগ নিবেদন করেন।
বনগাঁ শহরের এই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন পুজোটির নাম বনগাঁ টাউন দুর্গা বাড়ি। এবারে এই পুজো ৯৩ বছরে পা দিল। একসময় টাউন হল মাঠে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল। পরবর্তীতে এই পুজোটি দিঘির পাড়ের কাছে ঘোষ স্কুলের পুরনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একচালার ঘরে স্থানান্তরিত হয়।
তখন থেকে এই পুজোর দায়িত্ব নেয় সোনালী স্পোর্টি ক্লাব। তখনও শুধুমাত্র পুজোর কটা দিন এই পুজোর আয়োজন হতো। এরও বেশ কয়েক বছর পর একসময় এই পুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এইসময় এই পুজোর হাল ধরেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান তাপস মুখার্জী।
তিনি তাঁর কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করেন এই পুজো। আর তাঁর আমল থেকেই মাদুর্গাকে এখানে বছরভর নিত্যপূজা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়। এখনও সেই পরম্পরা চলছে। তাপস মুখার্জী নিজে হাতে প্রতিদিন মায়ের ভোগ রান্না করেন।
একসময়কার চালাঘর নানাজনের সহযোগিতায় এখন দালানবাড়িতে রূপান্তরিত হয়েছে। গোটা বছর অন্নভোগের পাশাপাশি পুজোর কটা দিন বিশেষভাবে পুজোর আয়োজন হয়। অষ্টমীর দিন অঞ্জলী দিতে ভিড় উপচে পরে এই মন্দিরে। আর কয়েক বছর পরে শতবর্ষে পা দেবে এই পুজো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন