Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১১ জুলাই, ২০২২

জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তে সিআইডির সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে

 ‌

CID-cooperation-in-the-investigation-of-the-murder

শম্পা গুপ্ত : ‌জোড়া খুনের ঘটনার পর বেশ কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ এখনও অন্ধকারে। কে বা কারা এই খুনের ঘটনায় জড়িত, তাও বুঝতে পারছে না পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ঘটনাস্থল থেকে যেহেতু ঝাড়খন্ড সীমান্ত খুব কাছে। তাই খুনীরা সেই রাজ্যে পালিয়ে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে পুরুলিয়ার মফ:স্বল থানার কানালি গ্রামের কাছে খুন হন মদন পাণ্ডে এবং তাঁর ছেলে কানাই পান্ডে। কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা তাঁদের দুজনকে মোটর বাইক থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে বাইক এবং মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।

ঝাড়খন্ড লাগোয়া সীমান্ত অঞ্চলের কাছে এই খুনের ঘটনা ঘটায় দুষ্কৃতীদের খোঁজে ঝাড়খন্ড পুলিশের সহযোগিতা পেতে সেই রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি, সিআইডির সহযোগিতাও নেওয়া হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

ওইদিন রাতে আইমুন্ডি থেকে কানালি যাবার পথে যেখানে খুনে ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকাটি ঘিরে দিয়েছে পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে প্রহরী। জেলা পুলিশ আশা করছে, কয়েক দিনের মধ্যেই খুনের কিনারা হয়ে যাবে। যদিও এব্যাপারে বিশেষ কিছু জানাতে চাননি পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান। 

এব্যাপারে এদিন পুলিশ সুপার শুধু জানিয়েছেন, তদন্ত নির্দিষ্ট গতিতে চলছে। তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে সিআইডি তাদের সহায়তা করছে। এই খুনের ঘটনায় হতবাক পাণ্ডে পরিবার। নিহত মদন পাণ্ডের আর এক ছেলে রোহিণীকান্ত পাণ্ডে জানান, জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা এদিন তাঁদের কাছ থেকে অনেক তথ্য নিয়েছেন। 

পান্ডে পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বহু আগে যে পেট্রোল পাম্পে মদন পাণ্ডে ম্যানেজারের কাজ করতেন, সেখানে একটি ডাকাতির ঘটনা আটকে দেন তিনি। এছাড়া, তাঁদের বাড়িতেও একবার ডাকাতির চেষ্টা হয়। এত বছর পর সেইসব ঘটনার সঙ্গে এই খুনের ঘটনার কোনও যোগ আছে বলে মনে করছেন না তাঁরা।


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন