সৌদীপ ভট্টাচার্য : কোচিং সেন্টারের তালা ভেঙে সেই ঘরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পতাকা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশ এসে সেই তালা ভেঙে ঘরের দখল কোচিং সেন্টারের মালিকের হাতে তুলে দিল। এক তৃণমূল নেতার এই দাদাগিরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়া এলাকায়।
জানা গেছে, ঘোলা থানার আগরপাড়া বটতলা এলাকার এক চিকিৎসক গরিব মানুষদের চিকিৎসার জন্য ঘর বানিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সেই ঘরে তাঁরই সহকর্মী বন্ধু শম্ভু ঘোষ দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে পড়ান। অভিযোগ, সোমবার দুপুরে এলাকার যুব তৃণমূল নেতা দেবাশীষ লোধ দলবল নিয়ে পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ন্তগত সেই কোচিং সেন্টারের তালা ভেঙে ঘরের দখল নেয়।
ঘরের ভেতর থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা, শ্রমিক সংগঠনের ব্যানার টাঙিয়ে গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। বাধা দিতে এলে স্থানীয় এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ওই নেতা পানিহাটি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর হিমাংশু দেবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
কোচিং সেন্টারের মালিক শম্ভু ঘোষ জানান, গত প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি এখানে পড়াচ্ছেন।স্থানীয়রা সবাই তা জানেন। এদিন ঘর দখল হয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বেকে তিনি বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শ্যামলী দেবরায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনিই বিষয়টি ঘোলা থানাকে জানান।
বিষয়টি জানতে পেরে ঘোলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। এরপর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কাউন্সিলর শ্যামলী দেবরায় গেটের তালা ভেঙে তৃণমূলের দলীয় পতাকা খুলে দিয়ে দখলমুক্ত করে সেই ঘর পুনরায় কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের হাতে ফিরিয়ে দেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দেবাশীষ লোধ পলাতক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন