সমকালীন প্রতিবেদন : সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের 'রঞ্জন' চরিত্র এবার প্রকাশ্যে আসতে চলেছে। স্কুলে শিক্ষকতার চাকরির নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে রঞ্জন নামক চরিত্রের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস কিছুদিন আগেই সোস্যাল মিডিয়ায় রঞ্জন নামে একটি চরিত্রের কথা উল্লেখ করে একটি ভিডিও পোষ্ট করেন। সেখানে এই ছদ্মনামটি ব্যবহার করে তিনি উল্লেখ করেন যে, রঞ্জন একজন সৎ ব্যক্তি। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি প্রচুর চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে চাকরি দিয়েছেন। এমনকি সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছেন অনেকে।
উপেনবাবুর বর্ণনা অনুযায়ী, রঞ্জন ব্যক্তিটি এতোটাই সৎ যে, তিনি যার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তাকেই চাকরি দিয়েছেন। কোনও কারণে চাকরি না দিতে পারলে, সেই ব্যক্তির টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কয়েকশ জনকে তিনি এভাবে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন।
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বুধবার এব্যাপারে বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কী নির্দেশ দিয়েছেন, সেব্যাপারে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী ফিরদৌস জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে এই মামলায় পার্টি করা হয়েছে উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে। তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতা করবেন উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, এমনই আশা আদালতের।
তিনি আরও জানান, রঞ্জনের আসল নাম চন্দন মন্ডল। তিনি বাগদার মামাভাগিনা এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যারা টিচার। এদিকে, যখন থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে রাজ্য জুড়ে হইচই শুরু হয় এবং উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, তখন থেকেই উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার মামাভাগিনা গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে সপরিবারে পলাতক রঞ্জন ওরফে চন্দন মন্ডল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন