সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার চন্দন মন্ডল ওরফে রঞ্জন প্রায় ১৭০০ জনকে স্কুলে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আর তারজন্য এক একজনের কাছ থেকে সে ১৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। আর সেই টাকার একটা বড় অংশ বস্তা ভর্তি করে কলকাতায় তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের কাছে পাঠাতো সে। বনগাঁয় দলীয় কর্মসূচিতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এমনই অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ৮ বছরের রাজত্বকাল পালন উপলক্ষে শুক্রবার বনগাঁ শহরে আয়োজিত জেলা বিজেপির একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি রামপদ দাস, বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, স্বপন মজুমদার, অম্বিকা রায় সহ অন্যান্যরা। এদিন বনগাঁর ১ নম্বর রেলগেট থেকে মিছিল শুরু করে যশোর রোড ধরে নীলদর্পণের সামনে শেষ হয়। পরে একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রতর দেহরক্ষী প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ওই ব্যক্তির কলকাতায় ৩ টি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার মধ্যে একটি বাড়ির পরিচারিকার নামে। এছাড়াও তার বাড়ি থেকে প্রচুর সোনা পাওয়া গেছে। পুলিশের কনস্টেবলের চাকরি করে এতো সম্পত্তি সে কি করে করলো, তার উত্তর খুঁজছে সিবিআই।
এদিন তিনি ফের দাবি করেন, উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী একান্ত আলাপচারিতায় একথা তাঁকে জানিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। এব্যাপারে রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করায় বিকল্প পথ খুঁজতে হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বনগাঁর দলীয় কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার জানান, তিনি এই মুহূর্তে বাইরে থাকায় আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন