Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বনগাঁর ১ নম্বর ওয়ার্ডে দুষ্কৃতী হামলা, ভোটকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা

  ‌

Mischievous-attack-on-ward-no-1-of-Bangaon

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌পুর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলমালের সৃষ্টি হল বনগাঁর ১ নম্বর ওয়ার্ডে। কয়েক'‌শ বহিরাগতর  হামলায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ইটবৃষ্টি চলে। ভাঙচুর হয় প্রচুর মোটর বাইক। প্রতিরোধ গড়ে তুললেন এলাকার মানুষ। বাধ্য হয়ে পিছু হটতে হল দুষ্কৃতীদের। রবিবার পুরভোটের শেষবেলায় বনগাঁ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল।


বনগাঁ পুরসভার ২২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অতি স্পর্শকাতর বুথের তালিকায় ছিল ১ নম্বর ওয়ার্ড। এদিন সকাল থেকে এই ওয়ার্ডে মাঝেমধ্যেই বহিরাগতদের জমায়েত লক্ষ্ করা যায়। তবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ফলে সেভাবে বড় কোনও সমস্যা হয় নি। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যায় এদিন বিকেলে।

জানা গেছে, এদিন বিকেল ৪ টে নাগাদ হঠাৎই পাইকপাড়ার দিক থেকে প্রায় ৪০০–৫০০ জনের একটি সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র হাই মাদ্রাসার দিকে রে রে করে এগিয়ে আসে। তখনও ভোট দেওয়ার জন্য ভোটের লাইনে ভোটাররা অপেক্ষা করছিলেন। গেটের বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মহিলা, পুরুষ কর্মীরা ঘোরাঘুরি করছিলেন।


আচমকাই ওই দুষ্কৃতী দল সেখানে উপস্থিত হয়ে বাঁশ, লাঠি সহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে হামলা চালায়। সামনে যাকে পায়, তাকে মারধোর শুরু করে। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকগুলি একের পর এক ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে ওই এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। হামলায় জখম হয়েছেন একাধিকজন। তাদের মধ্যে দিলীপকুমার লাল নামে এক ব্যক্তির মাথায় আঘাত করা হয়। তিনি গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পরেন।


এই ঘটনার পর স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুষ্কৃতীরা পিছু হটতে শুরু করে। এই সময় পর পর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। কমপক্ষে ১০ রাউন্ড গুলি চলেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ। যদিও পুলিশের দাবি, গুলি চালনার কোনও ঘটনা ঘটে নি। পাশাপাশি, ইটবৃষ্টিও শুরু হয়। দুষ্কৃতীরা পাইকপাড়া, ভাসানপোঁতা এলাকা থেকে এসেছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পুলিশের সামনেই এই হামলা চলে বলে অভিযোগ।

গোলমালের খবর পেয়ে পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এলাকা থেকে মহিলা সহ কয়েকজনকে আটক করা হয়। এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এই ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থীর স্বামী তথা সিপিএম নেতা পীযুষকান্তি সাহা। পুলিশের ভূমিকা খুবই নিন্দনীয়। নির্বাচনে এতোবড় হামলার ঘটনা এর আগে কখনও ঘটে নি। পুলিশকে আরও বেশি সক্রিয় হওয়া উচিৎ ছিল।   

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন