সমকালীন প্রতিবেদন : বাড়িতে স্ত্রী উপস্থিত থাকতে প্রেমিকাকে নিয়ে বাড়িতে হাজির হল স্বামী। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্বামী এবং স্বামীর প্রেমিকার হাতে আক্রান্ত হলেন স্ত্রী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী এবং তার প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের বুধবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১২ বছর আগে বাগদা থানার গাঙুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মেহেবুর আলম মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় রেহেনা খাতুন মন্ডল নামে এক যুবতীর। বর্তমানে তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এই অবস্থায় বেশ কিছুদিন ধরে মেহেবুর মন্ডলের সঙ্গে গাঙুলিয়া গ্রামেরই স্নেহা পাল মন্ডল নামে এক গৃহবধুর ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়।
মাস দুয়েক আগে মেহেবুর তার প্রেমিকা স্নেহাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তারা দুজন পুনেতে গিয়ে থাকতে শুরু করে। পরে স্নেহার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের দুজনকে আটক করে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর তাদেরকে আদালতে তোলা হলে সেখান থেকে জামিনে মুক্তি পায় তারা। কিন্তু তাতেও তাদের দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্কে কোনও ছেদ পরে নি।
এরইমধ্যে হঠাৎ করেই স্নেহাকে সরাসরি নিজের বাড়িতে নিয়ে হাজির হয় মেহেবুর। মেহেবুরের স্ত্রী রেহেনা খাতুন মন্ডল এই ঘটনার বিরোধিতা করায় গোলমাল শুরু হয়। অভিযোগ, এরপর স্বামী মেহেবুর এবং তার প্রেমিকা স্নেহা দুজনে মিলে রেহেনাকে মারধর করতে থাকে। এব্যাপারে পরে রেহেনা বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মেহেবুর আলম মন্ডল এবং তার প্রেমিকা স্নেহা পাল মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন