দেবাশীষ গোস্বামী : এ যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সিনেমার গল্পে প্রায়ই দেখা যায়, দুই ভাই ছোটবেলায় হারিয়ে গেছে। যৌবনে তাদের মধ্যে দেখা হয়। কিন্তু এবার বাস্তবেই দেখা গেল এইরকম ঘটনা। মোহাম্মদ সিদ্দিকী এবং হাবিব দুই ভাই। একদম ছোট বেলায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। কারণ দেশভাগ। অবশেষে মিলন। তবে সময়টা বড্ড দীর্ঘ। ৭৪ বছর।
এ সবই সম্ভব হয়েছে ভারত সরকার ও পাকিস্তান সরকারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কর্তারপুর করিডোরের সৌজন্যে। এই কর্তারপুর করিডোর ভারতের পাঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার দেড়া বাবা নানাক সাহেবের গুরুদ্বার এবং পাকিস্থানে অবস্থিত দরবার সাহেবের গুরুদ্বার কে সংযুক্ত করে। এই করিডোর চালু হয় ২০১৯ সালে।
এই করিডোর দিয়ে দুই দেশের মানুষ পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়াই একে অপরের ধর্মস্থানে যাতায়াত করতে পারেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের এক পরিবার দেশ বিভাগের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর মধ্যে সেই সময় নবজাতক মোহাম্মদ সিদ্দিকী পরিবারের অন্যদের সঙ্গে পাকিস্তানে রয়ে যায়। আর বড় ভাই হাবিব বাবার সঙ্গে ভারতের পাঞ্জাবের ফুলনওয়ালে চলে আসে।
দীর্ঘ ৭৪ বছর পর এই করতারপুরে এখন বৃদ্ধ দুই ভাইয়ের মিলনে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই মিলনের ছবি মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে। দুই ভাই অশ্রুসজল চোখে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। দুই ভাই ভারত এবং পাকিস্তান সরকারকে ধন্যবাদ জানান এই কর্তারপুর করিডোর চালু করার জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন