সমকালীন প্রতিবেদন : শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান এক গৃহবধূ। বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাসিন্দা পূর্ণিমা দেবী নামের ওই বধূ কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী। পথ হারিয়ে তিনি চলে আসেন পেট্রাপোল সীমান্তে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ এবং হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পূর্ণিমাদেবী স্বামীর সঙ্গে ট্রেনে করে শ্বশুরবাড়িতে ফিরছিলেন। পথে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর নানা পথ ঘুড়ে অবশেষে পেট্রাপোল সীমান্তের নরহরিপুর এলাকায় এসে পৌঁছান। স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা এক অপরিচিত মহিলাকে এলাকার একটি মন্দিরে আশ্রয় নিতে দেখে তাঁর বিষয়ে খোঁজ নিতেই তাঁরা বুঝতে পারেন, ওই মহিলা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন।
এরপর তাঁরা ওই মহিলাকে এলাকার এক পরিচিত ব্যক্তির নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে পেট্রাপোল থানায় খবর দেন। পুলিশ এরপর হ্যাম রেডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করে। হ্যাম রেডিও কর্তৃপক্ষ এরপর ওই মহিলার পরিবারের সন্ধান পেয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্তটা জানায়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা শনিবার পেট্রাপোল থানায় হাজির হন।
এদিন পেট্রাপোল থানায় ওই মহিলার স্বামী সন্তোষ কুমারের হাতে তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীকে তুলে দেন বনগাঁর মহকুমা পুলিশ আধিকারি অশেষবিক্রম দস্তিদার। উপস্থিত ছিলেন হ্যাম রেডিওর প্রতিনিধি এবং নরহরিপুর গ্রামের উদ্ধারকারী ক্লাবের সদস্যরা। নিখোঁজ স্ত্রীকে খুঁজে পেয়ে খুশি সন্তোষ কুমার এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন