Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১

কালীপুজোতে ভক্ত সমাগম বীরভূমের ৫ সতীপীঠ সহ শক্তিপীঠ তারাপীঠে

 

Fans-gather-at-Kali-Pujo-in-Birbhum

সমকালীন প্রতিবেদন : ৫১ সতীপীঠের ৫ টিই বীরভূম জেলায় অবস্থিত। দীপাবলীর অমাবস্যায় মহাশক্তির আরাধনায় শক্তিপীঠ তারাপীঠ সহ বীরভূমের ৫ সতীপীঠই মেতে উঠলো। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই ৫ সতীপীঠে ভক্তদের ঢল নামে। করোনা পরিস্থিতিতে তাই সতর্ক প্রশাসনও। 

শক্তিপীঠ তারাপীঠে দীপাবলীর অমাবস্যায় তারার অঙ্গে মাকালীর পুজো দেখতে ভিড় জমান বহু ভক্ত। এইসময় মা তারাকে কালী রূপে পুজো করা হয়। তারাপীঠে মা তারাই আরাধ্যা দেবী। তাই এখানে দেবীর অন্য কোনও মূর্তি গড়ে পুজো করা হয় না। বৃহস্পতিবার ভোরে অমাবস্যা তিথি শুরু হতেই মা তারাকে কালী রূপে পুজো দিতে শুরু করেন ভক্তেরা। তার আগে রাত থাকতেই মা তারাকে স্বর্ণালঙ্কার সহ রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়। সেইসময় মা তারাকে কালী রূপে পুজো করা হলেও দুপুরে মা তারা রূপে পুজো করা হয়। আবার রাতে মা কালী রূপে পুজিত হন মা তারা। দুপুরে ভোগ রান্না আতপ চালের ভাত, পোলাও, ৫ রকমের ভাজা, ৫ রকমের সবজি, শোল মাছ পোড়া, বলির পাঁঠার মাংস, চাটনি পাঁচ রকম মিষ্টি, পায়েস নিবেদন করা হয়।


বীরভূমের ৫ সতীপীঠের অন্যতম একটি নলহাটিতে অবস্থিত। এখানে সতীর নলা অর্থাৎ কণ্ঠনালী পড়েছিল। তাই দেবী এখানে নলাটেশ্বরী কালী হিসেবে পূজিত হন। কালীপুজোর দিন এখানে দেবীকে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে পুজো করা হয়। বোলপুর কঙ্কালীতলায় সতীর কোমরের কঙ্কাল বা কাঁকাল পড়েছিল। এখানে কংকালী মায়ের কোনও বিগ্রহ নেই। পরিবর্তে কংকালী মায়ের ছবিতেই পুজো করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে কংকালী মায়ের বেদীকে স্নান করানো হয়। এরপর খিচুড়ি আর পাঁচ রকম ভাজা দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়। এখানে এখনও ছাগল বলি দেওয়ার প্রথা চালু রয়েছে। রাতে কঙ্কালীতলা মহাশ্মশানে হোম যজ্ঞের আয়োজন হয়। 


বক্রেশ্বরে দেবীর ভ্রু মধ্যস্থ মন পড়েছিল। এখানে দেবী তাই মহিষমর্দিনী রূপে পূজিত হন। তবে কালীপুজোর দিন মহিষমর্দিনী দেবীকে কালী রূপে পুজো করা হয়। সাঁইথিয়ায় সতীর কন্ঠহার পড়েছিল। তাই এখানে দেবী নন্দিনী হিসেবে পূজিত হন। এখানেও কালীপুজোর দিন দেবীকে কালী রূপে পুজো করা হয়। লাভপুরে দেবীর অধঃওষ্ঠ পড়েছিল। এখানে দেবী ফুল্লরা নামে খ্যাত। এখানেও আজকের দিনে দেবীকে কালী রূপে পুজো করা হয়। দীপাবলীর অমাবস্যায় বিশেষ পুজোর দিনে এই সমস্ত স্থানে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। 


বীরভূমের সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের প্রতিবিম্ব, ত্রাণ সমিতি, রেড রোজ, ডাঙ্গালপাড়ার সিক্স বুলেট ক্লাব, এস পি মোড়ের বামদেব সংঘ, মৌমাছি, সংঘর্ষ, রেডসান, রবীন্দ্রপল্লী আদি সার্বজনীন, সুভাষপল্লী কালী পুজো কমিটি, কেন্দুয়া স্বামীজী সংঘ, কলেজপাড়া কালীপুজো সার্বজনীনের  প্রতিমা, পুজোমণ্ডপ এবং আলোকসজ্জা দেখতে সিউড়ির মানুষ যেমন ভিড় জমান, তেমনি সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের ইন্দ্রগাছার বামা কালী, সাজিনার বড়কালী, বেহিরার নিম্বু বাসিনি মা, আমোদপুরের নিরিশা মার পুজো দেখতে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভীড়ের মাত্রাও বাড়ে। জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, করোনার সংকট এখনও কাটেনি। তাই দীপাবলী এবং মাতৃ আরাধনায় সকলকে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। জেলার মানুষকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ, জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন