মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে
পেট্রোপণ্যের ওপর থেকে ভ্যাট কমানোর দাবিতে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। বিক্ষোভ শেষে মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, জেলার সহ-সভাপতি বিজয় মুখার্জি, রাজ্য কমিটির যুব মোর্চার সদস্য কুন্দন সিং সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিক্ষোভে সামিল হয়ে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, তৃণমূল সরকার মানুষের স্বার্থে নয়, ব্যক্তিগত স্বার্থে চলছে। আর তৃণমূল সরকারের জন্য মানুষের ওপর বোঝা চাপছে। সাংসদের দাবি, বাংলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা উচিত। নইলে পশ্চিম বাংলা দ্বিতীয় কাশ্মীরে পরিণত হবে।
আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত
আগ্নেয়াস্ত্র সহ ভিন রাজ্যের এক যুবককে গ্রেপ্তার করল উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল থানার পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম চিন্টু কুমার পাসোয়ান। বছর ২২ বয়সের ওই যুবকের বাড়ি বিহার রাজ্যের দাঁড়ভাঙা জেলার বিশানপুর থানার মুস্তাফাপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বনগাঁর ছয়ঘরিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান এবং ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। শুক্তবার তাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সে কোথা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র পেল, কি কারণে সে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছিল, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে।
শিল্পী স্মরণ
প্রয়াত নাটুয়া শিল্পী হাড়িরাম কালিন্দীর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হলো পুরুলিয়ার তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের মানভূম কালচারাল একাডেমীতে। শুক্রবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানভূম কালচারাল একাডেমী সভাপতি, সম্পাদক সহ জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ফুল, মালা দিয়ে তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানান উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা। নাটুয়া শিল্পী হাড়িরাম কালিন্দীর বিভিন্ন সময়কার কাজের কথা তুলে ধরেন উপস্থিত সর্বস্তরের মানুষ। এই দিনটা স্মরণে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্টজনেরা।
গোষ্ঠ উৎসব
করোনা পরিস্থিতির কারণে অনাড়ম্বরভাবে শতাব্দী প্রাচীন গোষ্ঠ উৎসব পালিত হল বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে। দুবরাজপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নায়েকপাড়ায় মহাপ্রভুর মন্দির থেকে গোশালার রাজেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে আসা হয় মহাপ্রভুকে। অন্যান্য বছর বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র, কীর্তনের দলের গান সহ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাম মাধ্যমে মহাপ্রভুকে পালকিতে চাপিয়ে গ্রাম ঘুরিয়ে রাজেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এবার সাদামাটা আয়োজন করা হয়। খিচুড়ি ভোগের আয়োজনও এবার বন্ধ রাখা হয়। দুবরাজপুর শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ জানান, আজ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের গোষ্ঠ যাত্রা। সকাল থেকেই বিশেষ পুজো, নাম সংকীর্তন, হোমযজ্ঞ করা হয় মন্দির প্রাঙ্গণে। প্রসাদ হিসেবে এবছর শুধুমাত্র পায়েসের ব্যবস্থা করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন