Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১

SHIVA-PARVATI : শিব–পার্বতীর পুজো ঘিরে উন্মাদনা সিউড়ির করিধ্যায়

 ‌

Worship-of-Shiva-Parvati

সমকালীন প্রতিবেদন : দুই সহচরী জয়া ও বিজয়া কে সঙ্গী করে ষাঁড়ের পিঠে অধিষ্ঠিত পার্বতী ‌এবং মহাদেব পূজিত হন বীরভূমের (BIRBHUM) সিউড়ির করিধ্যা দাস দালাল পরিবারে। আর তাকে ঘিরে খুশির হাওয়া বয়ে যায় এই পরিবারে। 

করিধ্যার ডাঙ্গালপাড়াতে দশমীর দিন ঢাকের কাঠিতে বিসর্জনের সুর বেজে ওঠার পরদিনই অর্থাৎ একাদশীতে ঢাকের কাঠিতে নতুন সুর বেজে ওঠে। ত্রয়োদশীতে গিয়ে তা শেষ হয়।  ১২৭ বছর ধরে এই রীতি চলে আসছে। এই পরিবারের বর্ষীয়ান সদস্য সুমিত্রা দেবী তাঁদের পারিবারিক পুজো সম্পর্কে জানান, '‌এ বাড়িতে আসার পর থেকেই পুজোর আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। বোলপুরে (BOLPUR) নবমীর দিন পর্যন্ত পুজো কাটিয়ে দশমীর দিন এখানে আসতাম। আবার একাদশীতে মাকে বরণ করতাম, কত আনন্দ হতো।' 


করোনা পরিস্থিতির কারণে আনন্দে অনেকটা ভাটা পড়েছে। পুজোর জৌলুস কিছুটা কমেছে। এটাই এখন আক্ষেপ পরিবারের সদস্যদের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর জৌলুস আগের থেকে কিছুটা কমেছে। তবে পারিবারিক এই পুজোয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে জার্মানি থেকে প্রতিবছর ছুটে আসেন এই পরিবারের সদস্য পৃথ্বীশ দাস। 


পারিবারিক ইতিহাস অনুযায়ী শিব–পার্বতীর এই পুজোর সূচনা হয়েছিল রামচন্দ্র দাসের আমলে। তিনি বাংলাদেশের ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে সিউড়ির (SEURI) করিধ্যায় মসলিন এনে ব্যবসা করতেন। কথিত আছে, বাংলা ১৩০২ সালে স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে রামচন্দ্র একাদশীর দিন শিব–পার্বতীর পুজো শুরু করেন। রামচন্দ্রের পরে তাঁর দুই পুত্র আশুতোষ দাস এবং  নিত্যগোপাল দাস এই পুজোর দায়িত্ব নেন। 



পরিবারের প্রবীণ সদস্য তাপসকান্তি দাস জানালেন, প্রথা মেনে এরপর বংশানুক্রমে সেই পুজো এখনও হয়ে আসছে। একাদশীতে বাড়ির সবাই মিলে ঢাক বাজিয়ে ঘট আনতে যান।  পুরনো রীতি মেনে এখনও পুজোর ক'দিন ভোগ খাওয়ানোর এই পরিবারের পুজোয় ভোগ রান্নার ক্ষেত্রে বাড়ির মহিলারা অংশগ্রহণ করেন। 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন