সমকালীন প্রতিবেদন : এম.এডে ভর্তির বিষয়ে প্রকাশিত মেধা তালিকায় গরমিলের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই এই কমিটি গঠন করা হল। ইতিমধ্যেই অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ওই মেধা তালিকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী কেউ দোষী প্রমানিত হলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বিশ্বভারতী, প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই জানিয়েছেঅ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সন্ধেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বিনয় ভবনে এম.এডে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। সেকানে দেখা যায় ১০০ নম্বরের মধ্যে কেউ পেয়েছিল ১৯৮, আবার কেউ পেয়েছেন ১৫১ নম্বর। এই ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এইরকম গাফিলতি দেখে হতবাক হয়েছিলেন সকলেই। কিভাবে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। যদিও এ বিষয়ে সেই সময় কোনও প্রতিক্রিয়া জানায় নি কর্তৃপক্ষ। পরে ভুলে ভরা ওই তালিকা ওয়েব সাইট থেকে তুলে নেওয়ার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, এবছর বিনয় ভবনে এম .এডে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর। ৫০ আসনের পরীক্ষার জন্য বিশ্বভারতীর নিজস্ব এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য ২৫ টি করে মোট ৫০ টি আসন রয়েছে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত ও ৪০ নম্বর অ্যাক্যাডেমিক স্কোরের মাধ্যমে এই মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। সেই মেধা তালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা।
কিন্তু সেখানে এবারে দেখা গেছে, ভাষা বিভাগে ২ পড়ুয়া ১০০ এর মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০০.২৮ ও ১৯৮.৩৮৫। সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ২ পড়ুয়া পেয়েছেন যথাক্রমে ১৯৬.৩৬৭ ও ১৫১.২৭৫। ১০০ নম্বরের মধ্যে কিভাবে পরীক্ষার্থীরা তার থেকে বেশি নম্বর পেলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে? পরে বিষয়টি বিঝতে পেরে তড়িঘড়ি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন