সমকালীন প্রতিবেদন : দীঘার সমুদ্রে ভ্রমণ করতে যেতে চাইলে এখন আর বনগাঁ মহকুমার মানুষকে হাবড়া, বারাসত কিম্বা কলকাতায় ছুটতে হবে না। বনগাঁ থেকেই সরাসরি দীঘা যাওয়ার বাস পরিষেবা চালু হয়ে গেল। শুক্রবার গোপালনগর হাইস্কুলের সামনে থেকে এই পরিষেবার উদ্বোধন করলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য শ্যামল রায়, বাস পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কর্ণধার খালেক মন্ডল সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
বাঙালী ভ্রমণার্থীদের কাছে দীঘা অন্যতম পছন্দের জায়গা। হাতে দুদিনের ছুটি পেলেই তাঁদের বেশিরভাগ মানুষ প্রথমেই বেছে নেন দীঘাকে। কলকাতার বিভিন্ন স্থান থেকে দীঘা যাওয়ার জন্য সরকারি পরিষেবার পাশাপাশি প্রচুর বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ট্রেন পরিষেবাও।
এর পাশাপাশি, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, হাবড়া থেকেও এই পরিষেবা চালু রয়েছে। বনগাঁ থেকে এর আগে দীঘা পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু করা হলেও বিভিন্ন কারণে তা স্থায়ী হয় নি। এবারে একেবারে নতুনভাবে এই পরিষেবা চালু হল।
বাস পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কর্ণধার খালেক মন্ডল জানান, 'অত্যাধুনিক, আরামদায়ক, শীততাপ এই বাস পরিষেবা আপাতত সপ্তাহে ৪ দিন গোপালনগর হাইস্কুলের সামনে থেকে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। ভোর সাড়ে ৫ টায় ছেড়ে ৬ টায় বনগাঁর ডি এন ৪৪ বাসস্ট্যান্ডে এসে কিছুক্ষণ দাঁড়াবে। এরপর হাবড়া, বারাসত, এয়ারপোর্ট, সাঁতরাগাছি, কোলাঘাট, কাঁথি হয়ে দুপুর ১২ টা নাগাদ দীঘা পৌঁছাবে।'
তিনি আরও জানান, 'ওই একই বাস দুপুর ৩ টে নাগাদ দীঘা বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে একই রুট ধরে রাত ১০ টা নাগাদ বনগাঁয় পৌঁছাবে। চাহিদা বাড়লে আগামী দিনে সপ্তাহে ৭ দিনই এই বাস পরিষেবা চালু করা হবে। প্রয়োজনে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। আপাতত বনগাঁ থেকে দীঘা পর্যন্ত বাসের ভাড়া ধার্য করা হয়েছে মাথা পিছু ৪৯০ টাকা।'
জানা গেছে, গোপালনগর ছাড়াও বনগাঁর ডি এন ৪৪ বাসস্ট্যান্ডে দীঘার বাসে আসন বুকিং করার জন্য কাউন্টার খোলা হয়েছে। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে আপাতত ভাড়া কম রেখে যেন এই পরিষেবা চালু রাখা হয়। আগামীদিনে গোপালনগর থেকে তারাপীঠ পর্যন্ত যাতে নতুন একটি বাস পরিষেবা চালু করা যায়, তারজন্য তিনি উদ্যোগ নেবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন