Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

রোহিঙ্গা শরনার্থী কেন? (‌‌পর্ব –১০)‌

 

Why-Rohingya-refugees-Episode-10

রোহিঙ্গা শরনার্থী কেন ? (‌‌পর্ব –১০)‌

    অজয় মজুমদার

 একদিনে পঞ্চাশ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার মানুষ ঢুকেছেন নাফ নদী পার হয়ে উখিয়া সীমান্ত দিয়ে। ২৪ আগস্ট ২০১৭ মায়ানমারের রাখাইনে সেনা–রোহিঙ্গা জঙ্গী সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরে কয়েকদিন পরিস্থিতি একটু ঠাণ্ডা ছিল। অভিযোগ, রাখাইন প্রদেশে চোদ্দটি গ্রামে নতুন উদ্যোমে সেনাবাহিনী হামলা চালাচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে, দেশ না ছাড়লে মেরে ফেলা হবে। মারধর, লুঠের পাশাপাশি গুলিও চালানো হচ্ছে। তাই রাতের অন্ধকারে জঙ্গল, নদী পেরোতে গিয়ে নারী, শিশুসহ নিখোঁজ শতাধিক। বাংলাদেশ–উখড়িয়ার পালংখালীর কাছে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার শরণার্থী।

জঙ্গী সংগঠন আল কায়দা মায়ানমার সরকারকে কড়া বার্তা দিল। তারা জানালো, রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের কড়া মাশুল দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বের মুসলিমদের কাছে আর্জিও জানিয়েছে জঙ্গী সংগঠনটি ৷ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ফিলিপাইন্সের মুজাহিদ ভাইদের কাছে তাদের অনুরোধ– 'প্রয়োজনে অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে পাড়ি দিতে হবে ওদেশে। রোহিঙ্গাদের পরিণতির জন্য ভুগতে হবে মায়ানমার সরকারকে।



পাক জঙ্গি সংগঠনের একাংশও রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রভাব বাড়াচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন মিশ্র, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও অন্যান্য শীর্ষ কর্তারা। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও যেভাবে ভারতকে কড়া বার্তা দিয়েছে, আজ তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু টুইট করে জানিয়েছেন, '‌ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই অযথা ভারতকে খলনায়ক বানানো হচ্ছে ৷ এতে নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে ৷'‌ 

পশ্চিমবঙ্গে শিশু অধিকার কমিশনারের দায়ের করা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মায়ানমারে 'পুশ ব্যাককে চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। এদিকে, সু চি–র উপরে রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানে আন্তর্জাতিক মঞ্চ চাপ বাড়াচ্ছে ৷ সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে রাজ্যের কমিশন যুক্তি দিয়েছে, রোহিঙ্গা শিশু ও নাবালক–নাবালিকাদের জোর করে পুশব্যাক করার অর্থ মানবাধিকার লংঘন করা। কেন্দ্র সরকার একই দিনে সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা দিয়ে দাবি করে, রোহিঙ্গারা এ দেশে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী ৷ 

রাজ্যে কমিশনের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, 'নাবালক বিচার আইনে কোনও শিশু বা নাবালক অনুপ্রবেশকারী এ দেশে ধরা পড়লে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি নাবালক বিচার বোর্ড ঠিক করবে। কেন্দ্রের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। তাছাড়া দেশের আইন অনুযায়ী, কোনও শিশুর ছ'বছর বয়স পর্যন্ত তার সঙ্গে মাকে থাকতে দিতে হবে। কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি দিয়েছে, রোহিঙ্গারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, জাতীয় সুরক্ষার পক্ষেও বিপজ্জনক। এই বিষয়ে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর শুনানি হয়েছিল।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন