Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

ইস্তফা দিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি

 

The-district-president-of-the-BJP-minority-front-resigned

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌মোহভঙ্গ হল বিজেপি জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতির। আর তাই পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। শনিবার বিকেলে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েও দিলেন দলের জেলা নেতৃত্বের কাছে। এই ঘটনা জেলা বিজেপিতে বড় ভাঙন বলে মনে করা হচ্ছে।

পেট্রাপোল এক্সপোর্টার–ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খালেক বিশ্বাস একসময় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। অনেশ আশা, স্বপ্ন নেয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। দলের পক্ষ থেকে তাঁকে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি এবং তাঁর সংখ্যালঘু মোর্চার বাকি পদাধিকারীরা দলের প্রার্থীদের হয়ে ভোটারদের দোরে দোরে গিয়ে দলের প্রার্থীদের জন্য ভোটভিক্ষা করেছেন। 

খালেক বিশ্বাসের দাবি, তাঁর দায়িত্বে থাকা এলাকায় সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। তাঁর এবং তাঁর সংগঠনের নেতৃত্বের দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে সেই ভোটের অধিকাংশটাই পরেছে বিজেপি প্রার্থীদের পক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই এই সাংগঠনিক জেলার অর্ন্তগত দলীয় প্রার্থীদের জয়লাভের পেছনে জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি তাঁর। 

আক্ষেপের সুরে খালেকবাবু জানান, নির্বাচনে সাফল্যলাভের পর দলের জেলা নেতৃত্ব তাঁকে এবং তাঁর সংগঠনের বাকি কার্যকর্তাদের একপ্রকার গুরুত্বহীন, কোনঠাসা করে রেখেছেন। এটা অসম্মানজনক। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সব কে সাথ, সব কা বিকাশ‌ স্লোগানের উপর আস্থা রেখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম। সাধ্যমতো বিধানসভা নির্বাচনে খেটে দলের প্রার্থীদের জয়ী করিয়েছিলাম। অথচ এখন বুঝতে পারছি, আমাদের মোহ ভঙ্গ হয়েছে। বিজেপি সবার বিকাশ চায় না। আর তাই এই দলে থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা সম্ভব নয়। তাই ইস্তফা দিলাম।'‌

এবারে কি তাহলে তিনি এবং তাঁর সংগঠনের বাকি বিক্ষুব্ধ কার্যকর্তারা তৃণমূলে যোগ দেবেন ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর না দিয়ে জানিয়েছেন, 'আগামীতে রাজনৈতিক কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেব।'‌ উল্লেখ্য, রাজনৈতিক আঙিনায় খালেক বিশ্বাস মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ‌

এব্যাপারে জেলা তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ জানান, 'বিজেপি হল দিল্লি কা লাড্ডু। টোপ দেওয়া পার্টি। এই দলে যারাই যাবেন, তাদেরই মোহভঙ্গ হবে। খালেকবাবুর সুবুদ্ধি হয়েছে বলে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।'‌ যদিও এদিন এব্যাপারে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব জানান, 'এখনও পর্যন্ত কোনও পদত্যাগপত্র অফিসিয়ালি পাই নি। পেলে দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেব।'

                           


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন