সৌদীপ ভট্টাচার্য : পরিবারের অমতে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে করেছিলেন। আর বিয়ের ৩ মাস পর শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হলেন সেই বধূ। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থানার বাণীকন্ঠ নগরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রিয়াংকা দাস নামে ১৭ বছর বয়সের ওই নাবালিকা মাস তিনেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বামনগাছির বাসিন্দা সোমনাথ সামন্তকে বিয়ে করেন। প্রথমে এই বিয়ে মেনে না নিলেও পরবর্তীতে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে এই বিয়ে মেনে নেয় প্রিয়াঙ্কার পরিবার।
অভিযোগ, বিয়ের পরপরই মেয়ে কিছুদিন অন্তর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বারাসতের বাণীকন্ঠ নগরে বাপের বাড়িতে চলে আসতেন। এই সময় জামাই সোমনাথ আত্মহত্যা করবে বলে বারবার ভয় দেখিয়ে মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেত। এরপর গত সোমবার সকালে প্রিয়াঙ্কার মাকে ফোন করে প্রিয়াঙ্কার শ্বশুরবাড়ি থেকে বলা হয়, প্রিয়াঙ্কা কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রিয়াঙ্কার স্বামী সোমনাথের অভিযোগ, প্রিয়াঙ্কাকে অন্য একটি ছেলের সাইকেলে করে যেতে দেখা গিয়েছে। এই ওঘটনা জানার পর প্রিয়াঙ্কার পরিবারের পক্ষ থেকে দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রিয়াঙ্কার স্বামী সোমনাথ সামন্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
যে ছেলের সাইকেলে প্রিয়াঙ্কাকে যেতে দেখা গেছে বলে বলা হচ্ছে, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পাঁচদিন কেটে গেলেও এখনও প্রিয়াঙ্কা দাসের কোনও খুঁজ মেলে নি। নাবালিকা বধূর এই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে ক্রমশ রহস্য দানা বাঁধছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন