লক্ষ্মণ সাঁতরা : গত সপ্তাহে একদিনের বৃষ্টিতেই কলকাতা, হাওড়া সহ রাজ্যের একাধিক জায়গা জল প্লাবিত হয়েছে। হুগলির খানাকুলে সেনাও নামাতে হয়েছে।
আগে ভরা বর্ষায় নদী, নালা, খাল, বিল ভর্তি থাকা অবস্থাতেও তিন চার দিনের বৃষ্টিতে এমন বানভাসি অবস্থা সচরাচর দেখা যেত না। এখন একদিনের বৃষ্টিতেই লিলুয়া, টিকিয়াপাড়ার কারসেড জলs প্লাবিত। এই করোনা পরিস্থিতিতে হাতেগোনা কয়েকটি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলাচল করছে। তাও পর পর দুদিন হাওড়ায় লোকাল ট্রেন প্রবেশ করতে পারলো না।
সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনেও আপ ও ডাউন ট্রেনের সংখ্যা আরও কমিয়ে (বাতিল করে) হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলাচল করছে। যার ফলে মানুষের ভিড়ে করোনা বিধি চুলোয় উঠেছে।
নদীমাতৃক রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। পাহাড় ও মালভূমি থেকে উৎপন্ন নদীগুলির স্লোপ (গ্রাডিএন্ট) বজায় রাখা সম্ভম। বড় বড় পুকুর ও জলাশয়গুলিও অনেক জল ধারণ করতে পারে। তা সত্ত্বেও বছর বছর অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার ও রেললাইনের দু পাশের নয়ানজুলি সহ খাল, বিল বুজিয়ে সেগুলিকে ৪ লেন থেকে ৮ লেন পর্যন্ত বানানো হচ্ছে। নবনির্মিত পথগুলির দুপাশে ছোট বড় অজস্র কলকারখানা তৈরি হয়েছে। সর্বপরি অজস্র আবাসন সহ বাড়ি ঘর নির্মিত হচ্ছে।
দুঃখের বিষয়, ড্রেনেজ সিস্টেমকে লন্ডভন্ড করে, পরিবেশ দূষণের তোয়াক্কা না করে এইসব কাজ হচ্ছে। বড় বড় নদীগুলিতে কারখানার কেমিক্যাল মিশ্রিত বর্জ্য পদার্থ মিশে নদীগুলিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। জৈব বৈচিত্র তছনছ হয়ে যাচ্ছে। আমরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি না। এটাই যা আমাদের দোষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন